অর্থবর্ষ শেষে পুরকর আদায়ে উদ্যোগী হল রেলশহরের পুরসভা। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের বকেয়া পুরকর আদায়ে বছরের প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল খড়্গপুর পুরসভা। আর মার্চ মাস আসতেই সেই পদক্ষেপেই আরও কড়া হয়েছে পুর-কর্তৃপক্ষ। একেবারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর আদায়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুরকর্মীদের সঙ্গে ময়দানে নেমেছেন পুর-পারিষদেরা। পুরসভার আয় বাড়াতেই প্রতি বছরই এই পদক্ষেপ-বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের একাংশে রয়েছে রেল ও আইআইটি এলাকা। এই এলাকায় বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অথবা আধা-সরকারি সংস্থা মিলিয়ে মোট ৪০ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি অর্থবর্ষে ১০ শতাংশ করে পুরকরের পরিমাণ বাড়ানো হয়। সেই অনুযায়ী এই অর্থবর্ষে খড়্গপুর পুরসভার পক্ষ থেকে মোট ১ কোটি টাকা কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক করদাতা এই কর দিতে গড়িমসি বা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করায় প্রায় প্রতিবছরই ক্ষতির মুখে পড়তে হয় পুরসভাকে। তাই অর্থবর্ষের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেও লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩০ শতাংশ পূরণ না হওয়ায় সেই অর্থ আদায়ে জোর দিয়েছে পুরসভা।
এ দিকে কর আদায়ে পুরসভার নিজস্ব কর্মীরও অভাব রয়েছে। পূরসভা সূত্রে খবর, পুরকর আদায়কারী স্থায়ী কর্মী রয়েছেন মাত্র ১২জন। তাই কর্মী বাড়তে আরও ৯জন ঠিকা-কর্মী নেওয়া হয়েছে। এখন এই কর্মীদেরই একটি করে দল তৈরী করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরকর আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য এক একটি দলে থাকছেন চারজন কর্মী। এদের সঙ্গেই বিভিন্ন এলাকায় পুর-পারিষদরা ওই কর আদায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য পুরসভাতে এসেও বাসিন্দাদের করের টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “কর অনেকটাই আদায় করা গিয়েছে। আমাদের কর্মীর অভাব থাকা সত্ত্বেও আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর আদায়ে করছি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে তা কেন করা গেল না বিবেচনা করে কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সব করদাতা পুর-কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁদের বিরুদ্ধেও পুর-আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy