একশো দিনের প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজ নিয়ে বিরোধে একটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুঠপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়া থানার ঘোষপুর এলাকার আড়র গ্রামে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়র গ্রামে একশো দিনের প্রকল্পে একটি রাস্তা তৈরি নিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শক্তিপদ হাজরার সঙ্গে ওই গ্রামের বাসিন্দা হাসেম খাঁয়ের পরিবারের বিরোধ বাধে। তাঁদের রায়ত জায়গার উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে বলে ওই পরিবার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালতের নির্দেশে ওই জায়গার রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে হাসেম খাঁর পরিবার ওই জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে দেয়।
অভিযোগ, সোমবার সকালে পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে এক দল তৃণমূল সমর্থক ওই বেড়া ভেঙে দেয়। আদালতে মামলা করে রাস্তা তৈরির কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল সমর্থকেরা ওই পরিবারের উপর চড়াও হয় বলেও অভিযোগ। হাসেম খাঁয়ের ছেলে হারুণের দাবি, “পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে এক দল সশস্ত্র লোক এসে বলে, ‘কেন রাস্তার কাজে বাধা দিয়েছিস’। ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে পালাই।” হারুণের অভিযোগ, এরপরেই তাঁরা বাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। একটি পাম্প অকেজো করে দেয়। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ জানান হারুন।
এই হামলার কথা মেনে নিয়ে স্থানীয় ঘোষপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বিনোদ মুর্মু বলেন, “ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে এক দল লোক হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা এই কাজ সমর্থন করি না। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিক।” একই বক্তব্য তৃণমূল পরিচালিত পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায়েরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy