মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় (বাঁ দিকে) ও খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় (ডান দিকে) বিজেপির কর্মসূচি। খড়্গপুরে ছিলেন প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে শুক্রবার থানায়-থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করল বিজেপি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা থানার সামনে পৌঁছন। তারপর বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন এলাকায় আমাদের দলকে মিটিং-মিছিল করতে দেওয়াই হচ্ছে না।”
বিজেপি নেতৃত্ব আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, দলের এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জেলার এক- একজন নেতা এক- একটি এলাকায় থাকবেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন। সেই মতো তুষারবাবু এ দিন মেদিনীপুর শহরের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সিংহ পিংলার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। দলের জেলা কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য ছিলেন খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার কর্মসূচিতে। খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় জমায়েতও হয়েছিল ভালই। দীর্ঘক্ষণ থানার গেট আটকে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। অন্তরাদেবী বলেন, “পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। আমাদের কর্মীরা মার খেলেও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানাতেই আমরা পথে নেমেছি।”
কেশিয়াড়ি ব্লকে এ দিন বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন জেলা কমিটির সদস্য বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য, মণ্ডল সভাপতি উত্তম মাইতি। ডেবরার বালিচক বাজারে দলের জেলা কমিটির সদস্য ধীমান কোলে, ব্লক নেতা অশোক পাণ্ডে, মণ্ডল সভাপতি দুলাল মাইতি, সম্পাদক পৃথ্বীশ পাঠকের নেতৃত্বে মিছিল হয়। নারায়ণগড়ে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মণ্ডল সভাপতি কৃষ্ণপ্রসাদ রায়।
অন্য থানা ডেপুটেশন নিলেও মেদিনীপুর কোতয়ালি থানা বিজেপির ডেপুটেশন জমা নেয়নি। এ নিয়ে অসন্তোষও গোপন করছে না বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি তুষারবাবু বলেন, “জানি না কী কারণে কোতয়ালি থানা ডেপুটেশন নেয়নি। তবে, এ ভাবে আমাদের আটকানো যাবে না।” বিজেপির শহর সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “আমরা স্মারকলিপির কপি থানার দেওয়ালে সাঁটিয়ে দিয়ে এসেছি। আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি করবোই। পুলিশ অনুমতি দিলেও করবো, না দিলেও করবো!”
লোকসভা ভোটের পর থেকে জেলায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। গত আড়াই মাসে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার প্রাথমিক সদস্য বেড়েছে। আরও প্রায় ৮ হাজার আবেদন পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলকে চাঙ্গা করতেই জেলা বিজেপির এ দিনের কর্মসূচি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চলতি মাসের শেষে মেদিনীপুরে বিজেপির কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার কথা দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy