Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রতারণার অভিযোগ, ঘাটালে ধৃত মদ ব্যবসায়ী

মদের লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক মদ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার নবীন পাত্র নামে ওই ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি দাসপুর থানার লাউদা গ্রামে। ধৃতকে সোমবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৫৪
Share: Save:

মদের লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক মদ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার নবীন পাত্র নামে ওই ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি দাসপুর থানার লাউদা গ্রামে। ধৃতকে সোমবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত নবীন পাত্র দীর্ঘদিন ধরেই মদ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দাসপুর-সহ একাধিক জায়গায় তাঁর সরকারি অনুমোদিত মদ দোকান রয়েছে। তাঁর সঙ্গে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, এই কথা জানিয়ে মদ ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় বছর তিনেক ধরে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত নবীন টাকা নিতে শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় কুড়ি-পঁচিশ জনের কাছ থেকে ২০-২৫ লক্ষ করে মদের দোকানের লাইসেন্স করে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছিলেন। অনেকে প্রতারিত হলেও কেউই পুলিশে অভিযোগ জানাননি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে টাকা দেওয়ার পর লাইসেন্স না পেয়ে দাসপুরের চাঁইপাটের কমল মাঝি নামে এক ব্যক্তি দাসপুর থানায় নবীন পাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, থেকে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন নবীন। অভিযোগ পেয়েই দাসপুর থানার পুলিশ নবীনকে গ্রেফতার করে।

দফতরের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আধিকারিক এ আহমেদ বলেন, “কেউ দফতরের অফিসারদের নাম করে টাকা নিলে কী করা যাবে! তবে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তা হলে অভিযুক্তের মদের লাইসেন্সও বাতিল হয়ে যাবে।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। যদি অভিযুক্তের সঙ্গে দফতরের কারও যোগাযোগ প্রমাণ মেলে, তখন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

lisence fraud case ghatal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE