আর পাঁচ জন সাধারণ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একই ঘরে বসে মাধ্যমিক দিচ্ছে খুনের মামলায় অভিযুক্ত এক নাবালিকা। আদিবাসী পরিবারের ওই মেয়েটির পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে নারায়ণগড়ের মকরামপুর হাইস্কুলে। সোমবার কড়া পুলিশি পাহারাতেই পরীক্ষা দেয় সে। স্কুলে এক জন মহিলা পুলিশকর্মীও মোতায়েন ছিল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা আহ্বায়ক নির্মলেন্দু দে বলেন, “জেলা থেকে একমাত্র ওই ছাত্রীই আদালতের নির্দেশ মতো প্যারোলে বেরিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে।”
ওই নাবালিকার বাড়ি খড়্গপুর গ্রামীণের খেলাড় বনপাটনা এলাকায়। সে খেলাড় গজেন্দ্র বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। আদালতের নির্দেশে প্যারোলে হোম থেকে বেরিয়ে এ দিন পরীক্ষা দিয়েছে সে। সোমবার ছিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা। সকালেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিশি ঘেরাটোপে পৌঁছয় লক্ষ্মী। মকরামপুরের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার মহান্তি বলেন, “আমার শিক্ষক জীবনে এমন অভিজ্ঞতা প্রথম। মেয়েটি সহজভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। ওর জন্য অন্য পরীক্ষার্থীদেরও অসুবিধা হয়নি।”
গত ৮ ডিসেম্বর এলাকায় ডাইন অপবাদে একজনকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ওই নাবালিকা-সহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেয়েটিকে মেদিনীপুরের বালিকা হোমে পাঠানো হয়। টেস্ট পরীক্ষায় ভালই ফল করেছিল ওই ছাত্রী। এ দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছিলেন তার স্কুলের বাংলার শিক্ষক প্রদীপ পাল। ওই ছাত্রী প্রদীপবাবুকে জানায়, পরীক্ষা ভাল হয়েছে। খেলাড় গজেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্র জানা বলেন, “ও দোষী হলে শাস্তি পেতেই হবে। তবে মানসিক দৃঢ়তা বজায় রেখে ও যে পরীক্ষা দিল, সেটা একটা দৃষ্টান্ত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy