সুকুমার সেনগুপ্ত স্মৃতি উদ্যানে চলছে বোটিং।
প্রতিবেদনের জেরে বিবাদী বাগে চালু টয় ট্রেন, বোট
বিবাদী বাগ। এক দিকে ট্রেজারি বিল্ডিং ও পুরনো ইনকাম ট্যাক্স বিল্ডিং, অন্য দিকে রাজভবন। দু’দিকের ফুটপাথের অর্ধেক অংশে অর্ধাংশে বসানো হয়েছে লোহার গার্ডিং, যার রং নীল-সাদা। লাল রঙের ঐতিহ্যমণ্ডিত ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের গথিক স্টাইলের সামনে নীল-সাদা গার্ডিং রেলিং পার্কে টয় ট্রেন চলা ও বোটিং করার ক্ষেত্রে সমস্যার বিষয়টি লেখার পর থেকে অবশ্য বিকেলে নিয়মিত তা চালানো হয়। আগে এই ধরনের সুবিধে থেকে বঞ্চিত হতে হত।
তবে সমস্যা যে এখনও নেই, তা কিন্তু নয়। বিকেলের পর একমাত্র টয়ট্রেন ও বোটিংয়ের সুবিধে রয়েছে। সেটা কী সারাদিন চালানোর ব্যবস্থা করা যায় না? তাহলে আরও ভাল হত। অন্তত শনিবার ও রবিবার- এই দু’দিন সব সময় চালানো হলেও আমাদের তো যাঁদের বাড়িতে ছোট্ট বাচ্চা রয়েছে তাঁরা উপকৃত হতেন। সুকুমার সেনগুপ্ত উদ্যানে বোটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু বোটগুলির অবস্থা ভাল নয়। জলের অবস্থা তো খারাপ। এগুলির কী পরিবর্তন করা যায় না? শ্রাবন্তী সাহা। অলিগঞ্জ।
শহরে প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হবে কবে
‘আমার শহর’ বিভিন্ন বিষয় নিয়েই নিয়মিত প্রতিবেদন বেরোচ্ছে। শহরের যানজট, হকার সমস্যা, খেলাধূলোর মান উন্নয়ন নিয়ে যে সব প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে সেগুলি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে পুর প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত বলেও আমি মনে করি। তারই সঙ্গে আরও একটি বিষয়ে আলোকপাত করার আবেদন জানাব। তা হল সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক বিষয়। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, অনুষ্ঠানের খবর হচ্ছে এটা ঠিক। কিন্তু বর্তমানে যে সব প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে সেগুলির বর্তমান অবস্থা, ছোট্ট সংস্থাগুলির পক্ষে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে তা ভাড়া নেওয়া অসম্ভব, এ ব্যাপারে ছোট্ট একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরির দাবি - এসব নিয়ে লেখারও আবেদন জানাব। তারই সঙ্গে গ্রন্থাগারগুলির হাল খুব ভাল এটাও বলা যায় না। নতুন যে বই প্রকাশ হচ্ছে, সেগুলো অনেকসময়ই গ্রন্থাগারে মেলে না। এ বিষয়টি তুলে ধরলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসত।
ঋত্বিক ত্রিপাঠী। সম্পাদক, মেদিনীপুর লিটল ম্যাগাজিন অ্যাকাডেমি।
হকার সমস্যা নিয়ে প্রশাসন নীরব কেন
শহরের যানজট রুখতে হকার সমস্যার কথা বারবারই লেখা হচ্ছে। এটা দেখে সত্যিই আমাদের খুবই ভাল লাগছে। কিন্তু এ বিষয়ে যদি পুরসভা বা মেদিনীপুর খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ তৎপর হতেন, তাহলে আরও খুশি হতাম। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেনেও কেন যে প্রশাসন নীরব, সেটাই বুঝে উঠতে পারি না। একটি ক্ষেত্রে কাজ কিছুটা হয়েছে। এলআইসি চকে ফোয়ারাটা প্রায়ই বন্ধ থাকত। সে বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সেটা প্রায়ই সচল থাকে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় যে ফোয়ারা চলে, তা কিন্তু নয়। তবে বন্ধ থাকা একটি জিনিস যে এই প্রতিবেদনের জেরে কিছুটা সচল হয়েছে, তার জন্য এই প্রতিবেদনকে ধন্যবাদ। অবশ্য শহরের হকার সমস্যা যত তাড়াতড়ি সম্ভব মেটানো প্রয়োজন। তাতে লাভবান হবেন শহরবাসীই।
গোপাল রায়। কুইকোটা।
শিক্ষাক্ষেত্রে নজর
শহরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখা হচ্ছে এটা ঠিক। কিন্তু আমি শিক্ষা জগতের মানুষ হিসাবে বলতে পারি শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা নিয়ে আরও একটু বেশি আলোকপাত প্রয়োজন। শহরের একাধিক স্কুল কলেজে নানা সমস্যা রয়েছে। পরিচালন সমিতি গঠনেও কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব থাকছে। এর থেকে মুক্তি না পেলে শিক্ষার প্রকৃত মান উন্নয়ন অসম্ভব। সংবাদপত্রই সেই ত্রুটি তুলে ধরে।
উদয়চাঁদ পাল। প্রাক্তন অধ্যক্ষ। নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়।
ব্যবসা নিয়ে আরও নতুন তথ্য চাই
‘আমার শহর’-এ নির্দিষ্ট বিষয় ধরে লেখা হয়। বেশ কয়েকটি লেখা অতি সুন্দর হয়েছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ ক্ষেত্রে শুধু বর্তমান সমস্যা নয়, অনেক পুরনো দিনের কথাও আমরা জানতে পারছি। আমরা এই শহরে থাকলেও অনেক কিছুই আমাদের অজানা রয়েছে। শহরের বহু বিষয় নিয়ে বর্তমান প্রজন্ম অন্ধকারে রয়েছে। তাঁদের কাছে সেই তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে এই সব প্রতিবেদন।
তবে পত্রিকার কাছ থেকে আমাদের চাহিদা আরও কিছুটা বেশি। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন থেকে আমরা বেশ কিছু তথ্য আশা করি। পরবর্তীকালে এই প্রতিবেদন থেকে আরও নতুন তথ্য পেলে ভাল লাগবে। আমি একজন ব্যবসায়ী হিসাবে বলতে পারি, ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্যা, ব্যবসায়ীদের অসুবিধা, পরিবহণ নিয়ে ঝক্কির বিষয়গুলি নিয়ে লিখলে ব্যবসায়ীরা আরও উপকৃত হবেন। আমরা অপেক্ষায় রইলাম।
রাজা রায়। সম্পাদক। মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইণ্ডাস্ট্রিজ।
বন্ধ হোক অপচয়
‘আমার শহর’ নিয়ে লেখা প্রত্যেকটা প্রতিবেদনই ভীষণ আকর্ষনীয়। একটা শহরকে নিয়ে যে এত ধরনের লেখা যায়, শহরের উন্নয়নের প্রশ্নে, মানুষের ভাবনাকে জাগ্রত করার প্রশ্নে-তা সত্যিই অবাক করে। একটি সংবাদপত্রের এ রকমের ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসনীয়। একই শহরে বসবাস করে অনেক ক্ষেত্রেই এক প্রান্তের মানুষ অন্য প্রান্তের মানুষের কথা জানতেই পারেন না। সেটা ভাল বিষয়ের ক্ষেত্রে যতটা সত্যি, সমস্যার ক্ষেত্রেও ঠিক ততোটাই প্রয়োজন। কিন্তু ‘আমার শহর’-এর বিষয়ভিত্তিক ও বিস্তারিত আলোচনার ফলে বাড়িতে বসেই প্রতিটি বিষয় সম্বন্ধে সকলে জানতে পারছেন। সচেতন নাগরিক হিসাবে এটা বলতে পারি যে, বিশেষত বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের অপচয় এ শহরে একটু বেশিই। এ ব্যাপারে আর একটু আলোকপাত করলে মানুষ যেমন সচেতন হবেন তেমনি পুর কর্তৃপক্ষও উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।
প্রসূনকুমার পড়িয়া। প্রধান শিক্ষক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy