রাস্তা পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর দুই সঙ্গী। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ তমলুক থানার রাধামনি বাজারের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ জাতীয় সড়ক ও তমলুক–পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের সংযোগস্থলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম যুগল মাজী (৩০)। তাঁর বাড়ি তমলুকের কণ্ঠিবাড় গ্রামে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যুবক লোচন বর্মণ ও রবীন্দ্রনাথ বর্মণকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের দু’জনকেই চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের দু’জনেরই বাড়ি নীলকুণ্ঠিইয়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক থানার নীলকুণ্ঠিইয়া এলাকার পাশাপাশি দুই গ্রামের ওই তিন যুবকের মধ্যে যুগলের জেনারেটরের ব্যবসা রয়েছে । নীলকুণ্ঠিইয়া গ্রামের একটি সর্বজনীন দুর্গাপুজোর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন জানাতে মোটরসাইকেলে করে তমলুক শহরে বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে যাচ্ছিলেন যুগল-সহ বাকি দুই যুবক। তমলুকের রাধামনি বাজারের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় মংলামাড়ো থেকে মেচেদাগামী একটি বাস মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন মোটরসাইকেল আরোহী যুগল, লোচন ও রবীন্দ্রনাথ। ঘটনাস্থলেই যুগলের মৃত্যু হয়। গুরুতর আঘাত লাগে লোচন ও রবীন্দ্রনাথের। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। দুর্ঘটনার পরেই বাসের চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়। পুলিশ বাসটি আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধামনি বাজারের কাছে হলদিয়া–মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ও তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের সংযোগস্থলে সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য সকাল থেকেই ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকে। তবে দুপুরে রাস্তায় গাড়ি চলাচলের পরিমাণ কম থাকায় ওই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। অভিযোগ, এ দিন দুপুরে ট্রাফিক পুলিশ না থাকার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy