মহিলাদের বিক্ষোভ। চন্দ্রকোনার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। নিজস্ব চিত্র।
চোলাই বিক্রি বন্ধে আন্দোলনে নামলেন প্রমিলা বাহিনী। রবিবার চন্দ্রকোনা শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাজারে একাধিক চোলাইয়ের ঠেক ভেঙে গুড়িয়ে দেন মহিলারা। নষ্ট করা হয় কয়েক লিটার চোলাইও। মহিলাদের আন্দোলন দেখেই দোকানের ঝাঁপ ফেলে বেপাত্তা হয়ে যান চোলাই কারবারিরা।
ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারিদের বক্তব্য, দিনকয়েক আগে চোলাই খেয়ে গ্রামের এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অসুস্থকে প্রথমে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে এবং পরে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগেও চোলাই খেয়ে গ্রামের একের পর এক অল্প বয়সি ছেলে অসুস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ রোগও। তার পরেও এলাকায় চোলাই ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে।
সূত্রের খবর, দিনের পর দিন চোলাই মদের কারবার বেড়েই চলছে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে। অভিযোগ, প্রকাশ্যেই চলছে এই ব্যবসা। প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারিয়ে বেশ কয়েকবছর আগেই ঘাটালে শুরু হয়েছিল ওই আন্দোলন। প্রথমের দিকে ঘাটালের গোপমোহল গ্রামে টানা আন্দোলন শুরু করেছিলেন গ্রামের মহিলারা। তাঁরা একত্রিত হয়ে একের পর এক ঠেক ভেঙে দেন তাঁরা। গ্রামে চোলাই বিক্রি বন্ধ করে সংলগ্ন গ্রামগুলিতেও অভিযানও শুরু করেছিলেন তাঁরা। ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। তারপর ওই প্রমিলা বাহিনীর ওই আন্দোলন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। এক সময় পুলিশ ও আবগারি দফতর যৌথ ভাবে অভিযানে নামে।
মহকুমা জুড়ে চোলাই ঠেক বন্ধ করতে প্রশাসনও উদ্যোগ করেছিল। চোলাই কারবারীদের বিকল্প রোজগারের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের তরফে। কিন্তু প্রশাসনের সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ। সেই ফাঁকে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে ফের রমরমিয়ে চলছে চোলাই কারবার। উদাসীন পুলিশ ও প্রশাসন। ঠুঁটো আবগারি দফতরও। জেলা আবগারি দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘চন্দ্রকোনায় চোলাই বন্ধে অভিযান হয়েছে। মহকুমা জুড়েই চলবে অভিযান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy