E-Paper

বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টেও প্রশ্নে বিতর্কিত স্যালাইন

প্রসূতি-মৃত্যুর পিছনে স্যালাইন-সহ ওষুধপত্রের বিরূপ প্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে, মত ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি’র। ‘সাসপেনশন’ প্রত্যাহারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান চলেছে সোমবারেও। তবে হাসপাতালের পরিষেবায় তার প্রভাব পড়েনি।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৩
Share
Save

মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি-মৃত্যুতে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জন চিকিৎসককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার পাশাপাশি, এফআইআর হয়েছে। তদন্ত করছে সিআইডি। তবে প্রসূতি-মৃত্যুর পিছনে স্যালাইন-সহ ওষুধপত্রের বিরূপ প্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে, মত ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি’র। ‘সাসপেনশন’ প্রত্যাহারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান চলেছে সোমবারেও। তবে হাসপাতালের পরিষেবায় তার প্রভাব পড়েনি।

এই হাসপাতালে গত ৮ জানুয়ারি অস্ত্রোপচারের পরে, পাঁচ প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হন। তাঁদের মধ্যে মামনি রুইদাস মারা যান ১০ জানুয়ারি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে কমিটি গড়ে। ১১ জানুয়ারি মেডিক্যালে পরিদর্শনে আসেন তাঁরা। পরে স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট দেন। তার ভিত্তিতেই অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে।

সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে রয়েছে— এ ক্ষেত্রে ‘রিঙ্গার’স ল্যাকটেট’, অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশন-সহ ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওষুধের পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তবেই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে। মেডিক্যাল কলেজে নিয়ম মানায় (এসওপি) গাফিলতির সম্ভাবনার কথাও রয়েছে রিপোর্টে। কমিটির পরামর্শ— ‘পাঁচ প্রসূতির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত স্যালাইন-সহ সব ওষুধের নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাচ নম্বরের ওষুধ ব্যবহার না করাই ভাল’।

রিপোর্ট নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কেউ মন্তব্য করতে চাননি। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্তাধীন।’’

ওই প্রসূতিদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর ‘রিঙ্গার’স ল্যাকটেট’ (আরএল) স্যালাইনের মান নিয়ে গোড়া থেকেই অভিযোগ ছিল। গত ডিসেম্বরে কর্নাটক ওই স্যালাইন কালো তালিকাভুক্ত করার পরে, রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলও সংস্থাটিকে আরএলের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেয়। ৭ জানুয়ারি তার ব্যবহার বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তা-ও কেন ৮ জানুয়ারি ওই স্যালাইন ব্যবহার হয়েছিল, প্রশ্ন ওঠে। তবে মেদিনীপুর মেডিক্যালের ঘটনার পরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরএল-সহ সংস্থাটির একগুচ্ছ ওষুধের ব্যবহার বন্ধ হয়েছে।

সিআইডি-র দল এ দিন ফের মেদিনীপুর মেডিক্যালে এসেছিল। তদন্তকারীরা অধ্যক্ষ, সুপারের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) রাজ্য শাখার দলও এসেছিল এ দিন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Saline Controversy Midnapore Medical College and Hospital

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।