Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নদী-যুদ্ধে জমি ছাড়ছেন না মানস

মানস জানালেন, সোমবার রাজ্যসভার ‘জিরো আওয়ারে’ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কারে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন।

মানস ভুঁইয়া।

মানস ভুঁইয়া।

দেবমাল্য বাগচী
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০২
Share: Save:

নেত্রী দায়িত্ব সঁপেছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধে। তবে তিনিও বসে নেই। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্পের সওয়াল বারবার তিনি রাজ্যসভায় করছেন বলে দাবি করলেন মানস ভুঁইয়া। সেই সঙ্গে এ বার কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কারে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে গণ-আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মানস।

মানস জানালেন, সোমবার রাজ্যসভার ‘জিরো আওয়ারে’ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কারে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন। উল্লেখ্য, সোমবারই খড়্গপুরের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই নদী সংস্কারের ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে দরবারের দায়িত্ব সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধে দিয়েছেন। অথচ সেই কংগ্রেসে থাকার সময় থেকেই কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার ও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানসের নাম। কেলেঘাই-কপালেশ্বরীর কাজ অনেকটা এগোনোয় গত কয়েক বছরে সবং, নারায়ণগড়, পিংলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যাপ্রবণ এলাকার পরিস্থিতিও অনেকটা বদলেছে।

দল বদলে মানস এখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর স্ত্রী গীতা ভুঁইয়া সবংয়ের তৃণমূল বিধায়ক। তাঁরা দু’জনেই এখন ওই নদী সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। এ বার মমতা শুভেন্দুকে দায়িত্ব দেওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেননি মানস। একই সঙ্গে নদী সংস্কার নিয়ে নিজের গুরুত্বকেও খাটো করছেন না তিনি। মানস মনে করিয়ে দেন, ২০১০ সালে তাঁর অনুরোধেই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কারে অনুমোদন দেন। ঠিক হয় ৭৫ ভাগ টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার। পরে কেন্দ্র জানায় ৫০ শতাংশ করে টাকা দেবে কেন্দ্র ও রাজ্য। সেই শর্তে জোট সরকারের সেচমন্ত্রী থাকাকালীন মানসের তত্ত্বাবধানে ২০১২ সালে কাজ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। মানস বলছেন, “আমি সেচমন্ত্রী থাকাকালীন একবছর কেন্দ্র টাকা দিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্পে রাজ্য ১৯৭কোটি ও কেন্দ্র ১৭৬ কোটি টাকা দিয়েছে। মানে ২১ কোটি টাকা রাজ্য অতিরিক্ত খরচ করেছে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে বিজেপি সরকার এই প্রকল্পে টাকা না দিয়ে রাজ্য তথা জেলাবাসীকে বঞ্চিত করছে।” মানসের সংযোজন, ‘‘রাজ্যসভায় এই নিয়ে বিভিন্ন সেশনে চারবার কেলেঘাই-কপালেশ্বরী ও দু’বার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বলেছি।”

মানসের কথায়, “কেন্দ্রের বঞ্চনা তুলে ধরে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আগামী জানুয়ারি মাসে সবং, নারায়ণগড়, ভগবানপুর-সহ সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলির মানুষের সঙ্গে কথা বলে নেত্রীর অনুমতি নিয়ে গণ-আন্দোলন শুরু করব।” প্রবীণ এই নেতা আরও জুড়ছেন, “আমি সেচমন্ত্রী থাকাকালীন যেটুকু কাজের সূচনা হয়েছিল তা কিছুটা হওয়ায় গত ৯ বছর বন্যা হয়নি। তবে শীঘ্র নদী থেকে পলি না তুললে ফের বন্যা হবে। আমার পরে দু’বার মন্ত্রী বদল হয়েছে। এখন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু। আমি ও সবংয়ের বিধায়কও সেচমন্ত্রীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।”

অন্য বিষয়গুলি:

Manas Bhunia Keleghai River Suvendu Adhikari Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy