Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
corona virus

সাহায্য চান চিকিৎসক, রেশন ডিলার

শুক্রবারই ছিল অনলাইনে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদন করার শেষদিন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচেষ্টা প্রকল্পের সুবিধা পেতে ইতিমধ্যে সমাজের বহু পেশার বহু মানুষ অনলাইনে আবেদন করেছেন।

লকডাউনেও ভিড়। দুপুর ১২টায় মেদিনীপুর শহরের স্কুল বাজার। নিজস্ব চিত্র

লকডাউনেও ভিড়। দুপুর ১২টায় মেদিনীপুর শহরের স্কুল বাজার। নিজস্ব চিত্র

রূপশঙ্কর ভট্টাচার্য
গড়বেতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০১:০৪
Share: Save:

রাজ্য সরকারের ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদন করেছেন চিকিৎসক। শুধু গ্রামীণ চিকিৎসকই নন। রয়েছেন রেশন ডিলার, পূজারী, ছাত্র, ব্যবসায়ীরও। এই ছবি গড়বেতা ১ ব্লক এলাকায়।
শুক্রবারই ছিল অনলাইনে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদন করার শেষদিন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচেষ্টা প্রকল্পের সুবিধা পেতে ইতিমধ্যে সমাজের বহু পেশার বহু মানুষ অনলাইনে আবেদন করেছেন। তালিকায় গ্রামীণ চিকিৎসক, রেশন ডিলার, ছাত্র, কৃষক, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, প্রাথমিক শিক্ষকের বাবা, পূজারীরও রয়েছেন। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ ব্লক শ্রম দফতরের কর্মীদের। অবাক ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। এ দিন একদম শেষ মুর্হূতে অনলাইনে আবেদন করেছেন খড়কুশমা এলাকার এক রেশন ডিলার।

লকডাউনের ফলে কাজ হারানো অসংগঠিত শ্রমিকদের মাসে এক হাজার টাকা করে দিতে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন তা রাজ্য সরকার থেকে স্পষ্ট করে বলেও দেওয়া হয়েছে। সরকারের সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় অন্তর্ভুক্ত নন, এমনকি এই যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন না, এমন শ্রমিকই আবেদন করতে পারবেন এই প্রকল্পে। ওই শ্রমিককে হতে হবে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। বিস্তর গোলমালের পর 'প্রচেষ্টা'র ফর্ম জমা নেওয়া স্থগিত রাখতে হয় রাজ্য সরকারকে। বলা হয় অনলাইনে আবেদন করতে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, গড়বেতা ১ ব্লকে পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসে হাতেহাতে প্রচেষ্টার ফর্ম জমা পড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার। অনলাইন হওয়ার পর সেই সংখ্যাটা অনেক কম। এ দিন বিকেল পর্যন্ত এই ব্লকে প্রচেষ্টায় মাত্র ১৮০০ আবেদন হয়েছে।

অনলাইনে আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন অসংগঠিত শ্রমিক নন এমন অনেকে। পাশাপাশি সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল অনেকে সরকারি সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছেন অনলাইনে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন শ্যামনগর অঞ্চলের একজন গ্রামীণ চিকিৎসকও। ফোনে তিনি বলেন, ‘‘আমি গ্রামীণ চিকিৎসক। রোজগার কমেছে। তাই প্রচেষ্টায় আবেদন করে রাখলাম।’’ একই কথা বলেন আবেদনকারী গড়ঙ্গা অঞ্চলের এক গ্রামীণ চিকিৎসকও। প্রচেষ্টার সুবিধা নিতে আবেদন করেছেন খড়কুশমা অঞ্চলের একজন প্রাথমিক শিক্ষকের বাবাও।

অনলাইনে আবেদনকারী গড়বেতার এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘এখন যা অবস্থা দু'দিন পর সব পাততাড়ি গোটাতে হবে। তাই আগেভাগেই প্রচেষ্টায় একটা আবেদন করে রাখলাম।" এ বিষয়ে ব্লকের শ্রম আধিকারিক প্রলয়শঙ্কর পাণ্ডা বলেন, ‘‘চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, ছাত্র, কৃষক সহ এরকম অনেক আবেদনই হয়েছে যাঁরা অসংগঠিত শ্রমিকদের আওতায় পড়েন না। আবার দেখা যাচ্ছে পরিবারের উপার্জনশীল একজন থাকা সত্বেও আবেদন করেছেন কেউ কেউ। আমরা সব পরীক্ষা করে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus covid 19 lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE