এত দিন বুথ পিছু প্রতিবন্ধী ভোটারের হিসেব হত খাতায়-কলমে। এ বারের লোকসভা ভোট থেকে সেই হিসেব হচ্ছে অ্যাপে। আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই তথ্য সংগ্রহ করেছেন। শুধু প্রতিবন্ধী ভোটারের সংখ্যা হিসেব নয়, অগ্রণী নামে ওই অ্যাপস ব্যবহার করে আরও কাজ করে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। অ্যাপে হিসেবনিকেশের পরে প্রতিবন্ধী ভোটারের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ১২ হাজার প্রতিবন্ধী ভোটার ছিল। অ্যাপসের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের পরে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার।
জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, এতদিন বুথ লেভেল অফিসারেরা (বিএলও) প্রতিবন্ধী ভোটারদের চিহ্নিত করতেন। জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী বলেন, “অগ্রণী অ্যাপস ব্যবহার করে আমরা শুধু ভোটার নয়, জেলায় প্রকৃত প্রতিবন্ধীর সংখ্যা কত, কত জনের কার্ড নেই, কতজন সরকারি সুযোগ সুবিধার আওতায় এসেছে সে সব তথ্যও আমাদের হাতে এসেছে।” এতদিন জেলায় মোট কত প্রতিবন্ধী রয়েছেন তার সঠিক তথ্য ছিল না। অগ্রণী অ্যাপস ব্যবহার করে সেই সংখ্যাও হাতে এসেছে জেলা প্রশাসনের কাছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, এই মুর্হূতে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিবন্ধী আছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, যে বুথে প্রতিবন্ধী ভোটারের সংখ্যা বেশি, সেখানে অন্তত পাঁচ জন প্রতিবন্ধী ভোটারকে প্রথমেই ভোট দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ভোট মিটে গেলেই এই অ্যাপের কাজ শেষ হচ্ছে না। তখন শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। সেখানে যে সমস্ত প্রতিবন্ধীর (যে কোনও বয়সের) এখনও শংসাপত্র হয়নি তাঁদেরকে শিবির করে সরকারি সুযোগ সুবিধার আওতায় আনার কাজ শুরু হবে। স্বাস্থ্য দফতরকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy