কল নামেই। মেলে না এক ফোঁটাও জল। নিজস্ব চিত্র
করোনা কালে যখন চিকিৎসকরা ঘন ঘন হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, তখন পাঁশকুড়া স্টেশনে জলেরই হাহাকার। হাত ধোঁয়া তো দূর অস্ত, পানীয় জল পেতেই কালঘাম ছুটছে যাত্রীদের। অভিযোগ, স্টেশন কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে উদাসীন।
করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন আগে চালু হলেও গত মাস থেকে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে যাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ নিয়ম বেঁধে দেয় রেল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার অন্যতম স্টেশন হল পাঁশকুড়া। জংশন স্টেশন হওয়ায় প্রতিদিন এই স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। দিনে গড়ে চারশোরও বেশি ট্রেন এই স্টেশনের ওপর দিয়ে চলাচল করত।
পাঁশকুড়া স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের কাছে এবং টিকিট কাউন্টারের উত্তর দিকে দুটি জলের কল ছিল। সংস্কার কাজের জন্য কল দুটি খুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি। অন্যদিকে, ১, ২, ৩ এবং ৪ নম্বর প্লাটফর্মের অধিকাংশ জলের কলগুলি অকেজো হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েকটি কল দিয়ে জল পড়লেও, তা পর্যাপ্ত নয়। ৫ এবং ৬ নম্বর প্লাটফর্মের কোনও কল দিয়েই জল পড়ে না বলে অভিযোগ। ফলে স্টেশনে পানীয় জল পেতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীরা জানাচ্ছেন, অনেক সময় গাদাগাদি হয়ে রেল যাত্রার পর স্টেশনে নেমে তাঁরা হাতও ধুতে পারছেন না। পাঁশকুড়ার বাসিন্দা নিত্যযাত্রী অবিচল রায় বলেন, ‘‘পাঁশকুড়া স্টেশনে পানীয় জলের জোগান খুবই কম। টিকিট কাউন্টার সংলগ্ন দুটি কল খুলে নেওয়া হয়েছে। প্লাটফর্মের অধিকাংশই কলই বিকল। স্টেশনে নেমে হাত ধোওয়ার মতো জল পাওয়া যায় না। করোনা কালে জলের জোগান অত্যন্ত জরুরি। এ নিয়ে পাঁশকুড়া স্টেশন কর্তৃপক্ষ একেবারে উদাসীন।’’
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে পাঁশকুড়া স্টেশন ম্যানেজার এ কে হালদারকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy