Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জঞ্জালে মেশে সিরিঞ্জ, তুলো 

আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে কিছুটা এগোলেই সিএমওএইচ অফিস ও নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের পিছনে একেবারে মাঝ বরাবর অ্যাসবেসটসের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট একটা ঘর। ঘরের মরচে ধরা লোহার  দরজা ভেজানো।

ছত্রখান: খোলা জায়গায় পড়ে মেডিক্যাল বর্জ্য। ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

ছত্রখান: খোলা জায়গায় পড়ে মেডিক্যাল বর্জ্য। ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

কিংশুক গুপ্ত
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:০৬
Share: Save:

আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে কিছুটা এগোলেই সিএমওএইচ অফিস ও নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের পিছনে একেবারে মাঝ বরাবর অ্যাসবেসটসের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট একটা ঘর। ঘরের মরচে ধরা লোহার দরজা ভেজানো। সেটিই ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্যের ‘কমন কালেকশন সাইট’। তবে ওই ঘরের বাইরেই প্লাস্টিকে ভর্তি মেডিক্যাল বর্জ্য ফেলে রাখা হয়েছে। চারপাশটা আগাছায় ভর্তি। দুর্গন্ধে টেকা দায়। সেখানে মনের সুখে ঘাসপাতা চিবোচ্ছে একটা গরু।

বৃষ্টি হলে বাইরে ফেলে রাখা বর্জ্য ধোয়া দল গড়িয়ে আসে আইসোলেশন ওয়ার্ডের উঠোনে। মেডিক্যাল বর্জ্যের ‘কমন কালেকশন সাইট’ থেকে তিরিশ মিটার দূরে আবার রয়েছে হাসপাতালের রোগীদের জন্য খাবার তৈরির রান্নাঘর। অভিযোগ, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে জমিয়ে রাখা হচ্ছে মেডিক্যাল বর্জ্য। হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে হলদিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থা। সব ওয়ার্ডেই জৈব ও অজৈব বর্জ্য আলাদা করা করে ফেলা হয়। পরে নির্দিষ্ট রং বিধি মেনে ভরা হয় মেডিক্যাল বর্জ্য। পরে সেই প্লাস্টিকগুলি রাখা হয় ‘কমন কালেকশন সাইটে’। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সপ্তাহে সাতদিন ওই সংস্থার গাড়ি এসে মেডিক্যাল বর্জ‍্য নিয়ে যায়। কিন্তু বাস্তব ছবি অন্য কথা বলছে। অভিযোগ, হাসপাতালের সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে একই জায়গায় ফেলা হয় মেডিক্যাল বর্জ্য।

হাসপাতালের এক সাফাই কর্মী জানালেন, এত বড় হাসপাতালে সব ওয়ার্ডের বর্জ্য সংগ্রহ করে ‘কমন কালেকশন সাইট’-এ ফেলার জন্য মাত্র ৯ জন কর্মী। পালা করে তাঁরা ডিউটি করেন। সপ্তাহে সব দিন মেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ করার গাড়ি আসে না। ফলে বাড়ে সমস্যা। আবার বহু ক্ষেত্রে রং বিভ্রান্তির ফলে সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে মেশে মেডিক্যাল বর্জ্য। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে বিকল্প জায়গায় মেডিক্যাল বর্জ্যের বড় ধরনের ‘কমন কালেকশন সাইট’ করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরে পরিকল্পনা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু টাকা বরাদ্দ হয়নি। হাসপাতালের সুপার মলয় আদক বলেন, ‘‘হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপন রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি নিয়মিত মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে যায়। উপযুক্ত আকারে বর্জ্যে ব্যবস্থাপন গড়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। গরু যাতে ঢুকতে না পারে, সে জন্য হাসপাতালে ঢোকার বিভিন্ন পথে কাউ ক্যাচার লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Garbage Syringe Cotton
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE