তুলে দেওয়া হচ্ছে স্মার্ট ওয়াচ।
চোরের পিছনে ছুটতে গেলে টান ধরে দমে। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে একটু বেশি পরিশ্রম হলেই অবসন্ন হয়ে যায় দেহ। ভুড়ি নিয়ে গতানুগতিক কাজে অসুবিধা নেই। কিন্তু অনথ্যা হলেই শরীর সায় দেয় না।
ডিজিটাল যুগে নিজেদের বাহিনীকে স্মার্ট করতে উদ্যোগী হলেন পুলিশ কর্তারা। যাঁদের ওজন বেশি বা বাড়তির দিকে সেই সব পুলিশকর্মীদের হাতে তুলে শুক্রবার দেওয়া হল স্মার্ট ওয়াচ। এটি দেখতে হাতঘড়ির মতোই। হাতে এই ঘড়ি থাকলে সারাদিনে কত ক্যালোরি খরচ হল, কত পা হাঁটলেন সব হিসেব পাওয়া যাবে। হাতে ঘড়ি থাকলে ব্যস্ত সময়েও নিজেদের ওজন কমানোর কথা মনে থাকবে।
ডিএসপি থেকে শুরু করে ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর, অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল সবার ওজনের দিকেই নজর দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। যে সকল পুলিশের চেহারা ভারি তাঁদের প্রাথমিক তালিকা তৈরি হয়েছে। এ দিন এমনই ৫০ জনকে পুলিশ লাইনে ডাকা হয়েছিল। আই জি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্র-সহ সিনিয়র আধিকারিকেরা ৫০ জনের হাতে স্মার্ট ওয়াচ তুলে দেন। উচ্চতা অনুয়ায়ী কত ওজন থাকা উচিত তা একটি সফটওয়্যার ‘বডি মাস ইনডেক্স’ এর মাধ্যমে হিসেব করা হয়। ২৫ শতাংশের বেশি যাঁদের ওজন রয়েছে তাঁদের চেহারা কমানোর জন্য নানা পরামর্শ দেওয়া হয়।
কী সেই পরামর্শ? অতিরিক্ত ওজন রয়েছে এমন পুলিশকর্মীদের সারাদিনে অন্তত সাত হাজার পা হাঁটতে বলা হয়েছে। ক্যালোরি হিসেব করে খাওয়া দাওয়া করতে বলা হয়েছে। এক আধিকারিক জানান, পুলিশের ব্যস্ত কাজের মধ্যে এত নিয়ম মেনে চলা সম্ভব নয় ভেবেই স্মার্ট ওয়াচের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ কর্মীদের ‘মাস্টার প্যারেড’ হয়। এই প্যারেডে কর্মীদের নিয়মশৃঙ্খলা, শারীরিক সক্ষমতা, (ফিটনেস) পোশাক-সহ নানা বিষয় পরীক্ষা করে দেখেন পুলিশ কর্তারা। কোনও কিছু ত্রুটি দেখলেই শাস্তির মুখে পড়তে হয় কর্মীদের। এখন অনেক পুলিশ কর্মীর ফিটনেস তলানিতে নেমেছে। পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘আগে এমন হলে কর্মীদের শাস্তি দেওয়া হত। এখন তাঁদের সুযোগ দিচ্ছি। নিজেদের শরীরের ফিটনেস বাড়িয়ে তোলার জন্য স্মার্ট ওয়াচ দেওয়া হচ্ছে।’’
ওজন কমাতেই হবে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এর জন্য তিনমাস সময় বেধে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা ভাল ফল করতে পারবেন তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে। অনুষ্ঠানে ছিলেন ডিআইজি বর্ধমান রেঞ্জ ভরতলাল মিনা, ডিআই জি মেদিনীপুর সুকেশ জৈন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy