কলকাতার সভামঞ্চে শিউলি (বাঁ দিকে), বিরবাহা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
একমঞ্চে দুই ফুল। শিউলির সঙ্গে বনফুল!
কলকাতায় তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন শিউলি সাহা, বিরবাহা হাঁসদারা। শিউলি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী। আর ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বিরবাহা (নামের অর্থ বনফুল) হলেন বন প্রতিমন্ত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তফসিলি জাতির প্রতিনিধি শিউলিকে আর আদিবাসী প্রতিনিধি হিসেবে বিরবাহাকে এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিউলি বলেওছেন, ‘‘আমি তফসিলি জাতিভুক্ত মেয়ে। আমাকে মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ।’’ জুড়েছেন, ‘‘সামনে চব্বিশের লড়াই। জননেত্রী সোনার বাংলা গড়েছেন। সোনার ভারতবর্ষও গড়বেন।’’ মনে করিয়েছেন, ‘‘আমি কেশপুরের এমএলএ। সিপিএমের অত্যাচারের কাহিনী জানেন আপনারা। ছোট আঙারিয়া ভুলে যাননি।’’
শুরুতে ডাক পড়ে বিরবাহার। তারপর শিউলির। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরবাহার বার্তা, ‘‘সমস্ত আদিবাসী মানুষজনের কাছে আবেদন করতে চাই, গর্জে উঠুন। বিজেপিকে উৎখাত করুন। আমরা মণিপুরে কী দেখতে পাচ্ছি? আদিবাসী মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে। মোদী সরকার চুপ করে বসে রয়েছে।’’ পঞ্চায়েতে সাফল্য মিলেছে। বিরবাহার ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামী লোকসভা ভোটের আগে আদিবাসী এলাকায় জমি আরও পোক্ত করতে চাইছে তৃণমূল, মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
শুক্রবার সমাবেশ থেকে সেই অর্থে নির্দিষ্ট করে জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রাম কিংবা পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্মীদের উদ্দেশে কোনও বার্তা দেননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে স্পষ্ট করেছেন আগামী লোকসভা ভোটই ‘পাখির চোখ’। সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। জেলার নিচুতলার একাংশ কর্মী তাতে আপ্লুত। বেলপাহাড়ির এক বুথস্তরের নেতা বলছেন, ‘‘২ অক্টোবর দল যদি দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচিতে নিয়ে যায়, তাহলে দেশের রাজধানীটাও দেখা হয়ে যাবে!’’ তার আগে ৫ অগস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে, ৮ ঘন্টার। যা নিয়ে বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়ের মন্তব্য, ‘‘আসুক ওরা। আমরা সবাই ডান্ডা নিয়ে বাড়ির সামনে বসে থাকব। কাঁচা বাঁশও থাকবে।’’
সমাবেশ শেষ হতেই ঝাড়গ্রাম রওনা দেন শহর তৃণমূল সভাপতি নবু গোয়ালা। নবু বলছেন, ‘‘রাতে পৌঁছে অনেকে গ্রামে ফিরতে পারবেন না। কয়েকটি এলাকায় হাতির ভয়ও রয়েছে। তাই সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামে পৌঁছে ধর্মশালায় কর্মী-সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করেছি।’’ গতবার ভিড়ের জন্য পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ সমাবেশস্থলের ধারেকাছে যেতে পারেননি। কয়েকজন দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে ফিরে আসায় বিতর্কও হয়েছিল। জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘এ দিন কবিতাদি-সহ সব নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিরা সমাবেশে যান। পঞ্চায়েত ভোটে জয়ীরাও গিয়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy