বাইপাসের ধারে বৃহস্পতিবার রাতে এক তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে আক্রান্ত তরুণীর মৃত্যু হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে। তাঁর শরীরে একাধিক ছুরির কোপ বসানো হয়েছিল। এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত নাবালককে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মহিলার স্বামী তথা মৃত তরুণীর সঙ্গীর খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মূলত পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, মহম্মদ ফারুক আনসারির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রফিয়া সাকিল শেখ। তাঁরা দু’জন বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বাইপাসের ধারে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে বসেছিলেন। সেই সময়ে আচমকা তাঁদের উপর চড়াও হন তিন জন। ফারুকের স্ত্রী শাহজাদি ফারুক এবং তাঁদের ১৬ বছরের পুত্র ছাড়াও ছিলেন ওয়াসিম আক্রম নামের এক যুবক। তিনি নাবালকের তুতো ভাই। তাঁদের দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ফারুক।
রফিয়াকে ছুরি দিয়ে একাধিক বার কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াসিম ওই তরুণীকে পালাতে বাধা দেন। মূল আক্রমণ করে নাবালক। সঙ্গে ছিলেন তার মা-ও। তরুণী সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলেন অভিযুক্তেরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
গুরুতর জখম অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে রাতে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ফারুকের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর ফোন বন্ধ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফারুক গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে রফিয়াকে নিয়ে একটি গাড়ি করে বাইপাসে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী, পুত্র অন্য একটি গাড়িতে তাঁকে অনুসরণ করেন। ফারুকের ফোনের জিপিএস লোকেশন দেখে তাঁর কাছে পৌঁছে যান অভিযুক্তেরা। ঘটনার সময়ে সেই গাড়ির চালক পালিয়ে যান। অভিযুক্তদের কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy