জেলা কমিটির সম্মেলনে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সভা চলাকালীন চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হল। অভিযোগ, বুধবার কাঁথির এক অনুষ্ঠানে টিফিনের বিরিয়ানি বিলি শুরু হতেই চন্দ্রিমার বক্তৃতার মাঝে প্রেক্ষাগৃহ ফাঁকা করে হুড়মুড় করে সভাস্থল ছাড়েন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। তাতে বক্তৃতা থামিয়ে সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান ক্ষুব্ধ চন্দ্রিমা।
বুধবার এই ঘটনা ঘটে কাঁথির বীরেন্দ্র স্মৃতিসৌধে। এ দিন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূলের 'সঙ্গবদ্ধ শপথ গ্রহণ' কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু সভায় গোলমালের জেরে তিনি বক্তৃতা শেষ করতে পারেননি। দলের অন্দরের খবর, মন্ত্রী যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সে সময় গেটের বাইরে বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছিল। তাতেই ধাক্কাধাক্কি করে প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন মহিলা কর্মীরা। এর পরই সভাস্থল থেকে রেগে বেরিয়ে যান চন্দ্রিমা।
এ দিন দলীয় কর্মসূচিতে মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। টাউন হলও কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল। দুপুরে ওয়া ১টা নাগাদ চন্দ্রিমা মঞ্চে আসেন। তাঁর আসার পর তাঁকে বরণ করা নিয়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূলের কর্মীদের একাংশ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে মাইক হাতে নিয়ে কর্মীদের এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা। এরপর চন্দ্রিমা বক্তৃতা দিতে ওঠেন। কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান প্রকল্পের সঙ্গে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের তুলনা টেনে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয়ুষ্মান ভারত পুরোপুরি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথীর নকল করা। আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর হলে ৭০ হাজার মানুষ উপকৃত হতেন। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আড়াই কোটি মানুষ সুবিধে ভোগ করছেন।’’ চন্দ্রিমার ওই বক্তৃতার মাঝপথে হঠাৎ কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আসন ছেড়ে সবাই দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকেন।
চন্দ্রিমা প্রথমে মহিলা কর্মীদের বসার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে ঝাঁক বেঁধে মহিলারা আসন ছেড়ে উঠে পড়েন। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়েন শাসকদলের জেলাস্তরের নেতারা। মাইক হাতে তাঁরা মরিয়া হয়ে বলতে থাকেন, সকলের জন্য টিফিন রয়েছে। সকলেই পাবেন। কিন্তু তাতে কেউ কান দেননি।
এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলছেন, ‘‘শুধুমাত্র অর্থ আর টিফিনের প্রলোভন দেখিয়ে ওরা মহিলাদের সভাসমিতি গুলোতে যে জড়ো করে।’’ যদিও তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রিজিয়া বিবি দাবি করেছেন,"আশাতীত ভিড় হয়েছিল সভায়। অনেককেই বসার আসন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই অনেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আমরা পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy