দিঘা সমুদ্রসৈকতে। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহান্তের ছুটি। তার উপরে নিম্নচাপের বৃষ্টি। এমন আবহাওয়া উপভোগ করার জন্য দিঘা বরাবরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের জায়গা। রবিবার হলও তাই। ঝিরঝিরে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়ার মাঝে ভিড় দিঘার সমুদ্রসৈকতে। সকাল থেকে রকমারি ছাতার ভিড় বেলাভূমিতে। বস্তুত, পুজোর ছুটিতে বেড়ানোর জন্য এখনই দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণিতে হোটেলের খোঁজ শুরু হয়েছে। অগ্রিম বুকিং হচ্ছে এখন থেকেই। যা দেখে আশাবাদী হোটেলমালিকেরা। এ বার পুজোয় পর্যটন নগরী দিঘায় পর্যটকদের ভিড় জনজোয়ারের চেহারা নেবেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দিঘা, মন্দারমণিতে পুরোদমে পুজোর বুকিং চালু হয়ে যাবে।
পুজোর ক’টা দিন নাগালের মধ্যে বেড়ানোর জন্য অন্যতম গন্তব্যস্থল দিঘা। কলকাতা এবং আশপাশের জেলা থেকে দূরত্ব কম। খরচও তুলনামূলক কম হওয়ায় দিঘা বরাবরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের জায়গা। তথ্য বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পুজোর ছুটিতে দিঘা, মন্দারমণিতে ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। এ বারও পুজোর মরসুমে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে নানাবিধ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের সুরক্ষার উপর। এখন রাত হলেই ‘উইনার্স টিম’ টহল দিচ্ছে সৈকতে। পুলিশকর্তারাও আসছেন ‘সারপ্রাইজ় ভিজ়িট’-এ। পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নজরদারি।
আর ২৪ দিন পর শুরু দুর্গাপুজো। তার আগে পর্যটকদের আনাগোনায় বেজায় খুশি হোটেলমালিক থেকে ছোট দোকানদার এবং ব্যবসায়ীরা। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘পুজোর মরসুমে বুকিংয়ের জন্য ভাল সাড়া মিলছে। হোটেলের ঘর পাওয়া যাবে কি না, প্রায়ই ফোন আসছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ বারের পুজোয় লক্ষ্মীলাভ নিয়ে আমরা সকলেই আশাবাদী।’’ নিউ দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অশোক চন্দ বলেন, ‘‘প্রতি বছর পুজোর সময় দিঘায় পর্যটকদের ঢল নামে। এ বারও পুজোর মরসুমে বুকিংয়ে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এটা (বুকিং) আরও বাড়বে।’’
দিঘা এবং আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর জন্য পুজোর মরসুমে অতিরিক্ত বাস নামাচ্ছে রাজ্য সরকারি পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি)। মহালয়ার দিন থেকেই অতিরিক্ত বাস চালানো শুরু হবে। ওই পরিষেবা মিলবে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত। এই মুহূর্তে বিভিন্ন ডিপো থেকে দিঘায় দিনে ৪০-৪৫টি সরকারি বাস চলাচল করছে। পুজোর সময় এই সংখ্যাটা ৫৫ থেকে ৬০ হবে। অন্য দিকে, দিঘা লাইনে অধিকাংশ ট্রেনই এখন সময় মতো চলছে না। এক্সপ্রেস থেকে লোকাল, সবেতেই ওই এক সমস্যায় ভুক্তভোগী পর্যটকেরা। যদিও পুজোর মরসুমে দূরপাল্লার ট্রেনের কনফার্ম টিকিট মিলছে না। সে জন্যই সড়কপথে যাতায়াত বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। আগামী কিছু দিন পরিবহণে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য অন্য ডিপো থেকে বাস তুলে দিঘা-কলকাতা রুটে চালানো হবে বলে জানা যাচ্ছে এসবিএসটিসি সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy