প্রতীকী ছবি।
বাড়ির অদূরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে নন্দকুমার থানার ব্যবত্তারহাট এলাকার আলাশুলি গ্রামে। অভিযোগ উঠেছে, ভাইপোর মৃত্যুর জন্য ওই ব্যক্তিকে দায়ী করে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। তার পরেই শনিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোহন মণ্ডল (৪৬)। পেশায় শ্রমিক মোহন তাঁর ভাইপো শ্যামল মণ্ডলকে নিয়ে কয়েক মাস আগে এক ঠিকাদারের অধীনে মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিদ্যুতের ওয়ারিংয়ের কাজ করতেন। কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় শ্যামলে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্তের পর শ্যামলের মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে এসেছিলেন মোহন। শ্যামলের মৃত্যুর জন্য মোহনকে দায়ী করে শ্যামলের বাড়ির লোকজন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সে সময় মোহনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন শ্যামলের পরিজন। তাঁরা মোহন এবং ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে গ্রামের পরিচালন কমিটির কাছে অভিযোগ জানান। গত রবিবার গ্রামের পরিচালন কমিটির মাতব্বররা মোহন এবং স্থানীয় ঠিকাদারকে নিয়ে সালিশি সভা ডাকেন। অভিযোগ, সেখানে মাতব্বরেরা ঠিকাদাদের ১৫ লক্ষ টাকা এবং মোহনকে তিন লক্ষ টাকা শ্যামলের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পর এ দিন সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে এক ব্যক্তির বাগানবাড়ির পেয়ারা গাছে মোহনের ঝুলন্ত দেখতে পান স্থানীয়েরা। তমলু থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তে পাঠায়।
সালিশি সভার পর মোহনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার মাতব্বরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে গ্রামবাসীদের একাংশ। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রাম পরিচালন কমিটির সভাপতি অমল খাঁড়া বলেন, ‘‘শ্যামলের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়েক দিন আগে উভয়পক্ষ নিয়ে আলোচনা সভা হয়েছিল। সেখানে শ্যামলের পরিবার ঠিকাদার এবং মোহনের কাছে টাকার দাবি করেছিলেন ঠিকই। তবে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। বিষয়টি উভয়পক্ষের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই মৃত্যুর ঘটনায় কেউ অভিযোগ জানাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy