—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল ও হাইস্কুলগুলির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ১০ জানুয়ারি শুরু করে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৮ জানুয়ারি জারি করা সেই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, প্রাথমিক স্কুল, শিশুশিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছে। কিন্তু প্রাথমিক স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ না করেই প্রতিযোগিতা করতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের। তাদের প্রশ্ন, ‘‘টাকা ছাড়া প্রতিযোগিতা হবে কী করে?’’
যদিও এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন,‘‘১০ জানুয়ারির পরিবর্তে কয়েক দিন পরে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে অর্থ বরাদ্দ হয়ে যাবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে জেলার কিছুক্ষেত্রে একে উৎসব হিসেবে ধরা হয় বলে অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়।’’
নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্কুল, শিশুশিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের সময় সীমা বেঁধে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে— জোন, চক্র পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ১০ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যেই শেষ করতে হবে। মহকুমা স্তরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে। আর ২৯ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ করতে হবে।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সতীশ সাউ-এর অভিযোগ, ‘‘পর্ষদ ৮ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১০ জানুয়ারি থেকেই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করতে বলেছে। অর্থাৎ মাত্র এক দিনের ব্যবধান! কী ভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন সম্ভব! ছাত্রছাত্রীরা প্রস্তুতি নেবে কী করে?’’ সতীশের আরও অভিযোগ, ‘‘পর্ষদের তরফে প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হলেও অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিগত বছরগুলিতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করতে হয়েছিল।’’
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি অশোক দাসেরও অভিযোগ, ‘‘প্রাথমিক পড়ুয়াদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে অঞ্চল ও সার্কেল স্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে আর্থিক সাহায্য নেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy