ছবি: সংগৃহীত
পথবাতি হিসাবে রাস্তায় রয়েছে টিউবলাইট বা সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প। পুরএলাকায় এই ধরনের পথবাতি লাগানোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। তবে ইতিমধ্যেই পুরনো ওই সব বাতিতে বদল এনেছে তমলুক পুরসভা। টিউবলাইট এবং সোডিয়াম ভেপার আলোর পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তির এলইডি ব্যবহার শুরু করেছেন তমলুক পুরকর্তৃপক্ষ। নতুন করে আরও সাড়ে তিন হাজার এলইডি বাতির জন্য ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০টি ওয়ার্ডের তমলুক পুর এলাকায় জনবসতি দ্রুত বাড়ছে। জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে বেড়েছে রাস্তার সংখ্যাও। ফলে পথবাতির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সোডিয়াম ভেপার বা টিউবলাইটের ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের খরচ বাড়ে। বর্তমানে বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। ফলে শহরে পথবাতির জন্য বিদ্যুৎ বিল বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে হচ্ছে পুরসভাকে। ওই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের খরচ কমাতেই টিউবলাইট এবং সোডিয়াম ভেপার আলোর পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তির এলইডি আলোর ব্যবহার শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রে খবর, পথবাতির বিদ্যুৎ খরচ ও পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাম্প চালানোর জন্য তিন মাস অন্তর বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা মেটাতে হয়। এর মধ্যে একটি বড় অংশ পথবাতির জন্য। পুরপ্রধানের দাবি, এলইডি আলো ব্যবহার করলে এই খরচ প্রায় ৩০ শতাংশ কমবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ধাপে ধাপে বেশ কিছু ওয়ার্ডে দু’হাজার এলইডি আলো লাগানো হয়েছে। শহরে মোট সাড়ে ৫ হাজার পথবাতি রয়েছে। বাকি বাতিগুলিও বদল করে এলইডি আলো লাগানো হবে। এ জন্য রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। ‘গ্রিন সিটি মিশনে’ সম্প্রতি এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। শীঘ্রই ওই কাজ শুরু হবে।
পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘শহরের সব জায়গায় এলইডি আলো ব্যবহারের পরিকল্পনা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২ হাজার এলইডি আলো রয়েছে। বাকি সাড়ে ৩ হাজার এলইডি আলোর জন্য টাকা চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করে প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy