ট্রাকচালকের কাছে তোলা চাইছে সিভিক ভলান্টিয়ার, সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ‘পোস্ট’ করে এমন অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম বর্ধমানের রাজবাঁধে টোলপ্লাজ়ায় ট্রাকে অতিরিক্ত জিনিস বোঝাইয়ের বাহানায় পুলিশ চালকের কাছে দশ হাজার টাকা চেয়েছে বলে দাবি তাঁর। তবে অভিযোগ উড়িয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের দাবি, ট্রাকটি ‘ওভারলোড’ থাকায় জরিমানা করা হয়েছিল।
সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তির সঙ্গে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাদানুবাদ চলছে। সিভিক ভলান্টিয়ার দাবি করছেন, ‘ওভারলোড’ গাড়ি পার্কিংয়ে রাখা হবে। উল্টো দিকের ব্যক্তির পাল্টা দাবি, ‘ওভারলোড’ থাকলে টোলে জরিমানা দিয়ে চলে যাবেন তিনি। ওই ব্যক্তিকে আরও অভিযোগ করতে শোনা যায়, তাঁর কাছে দশ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। শুভেন্দু সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেন, কোনও পুলিশ আধিকারিক বা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকের অনুপস্থিতিতে সিভিক ভলান্টিয়ার এ ভাবে তোলা চাইছেন। রাজ্যের যে কোনও জাতীয় বা রাজ্য সড়কে প্রকাশ্যে এ ভাবে পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ারদের তোলা আদায় করতে দেখা যায় বলেও তাঁর দাবি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এটি কাঁকসার বাঁশকোপা টোলপ্লাজ়ার কাছে দিন কয়েক আগের ঘটনা। পুলিশের দাবি, ওই ট্রাকটি হাওড়ার ডোমজুড় থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। তখন ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্মী ‘ওভারলোডের’ অভিযোগে সেটি আটকান। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি ট্র্যাফিক (৩) রাজকুমার মালাকারের দাবি, ‘‘আমাদের এক এসআই গাড়িটি ধরেন। নির্দিষ্ট যন্ত্রে ওজন করে দেখা যায়, সেটি ‘ওভারলোড’। তখন চালককে জানানো হয়, জরিমানা দিতে হবে। তা না হলে গাড়ি পার্কিংয়ে রাখা হবে। এক সিভিক ভলান্টিয়ার টোলপ্লাজ়া পেরিয়ে ট্রাকটি পার্ক করাতে যান। টাকা চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’’ দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে কোনও অন্যায়ের অভিযোগে আমরা যেমন প্রশাসনিক ভাবে অনুসন্ধান করি, তা করা হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)