লকডাউনেই চলছে নির্মাণ কাজ। বুধবার তমলুকে। নিজস্ব চিত্র
বাজারের দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় নেই লোকজন। নেই গাড়িঘোড়া। এমন শুনশান অবস্থার মধ্যেই কাজে ব্যস্ত জনা কুড়ি শ্রমিক। একদল বালি ও সিমেন্ট মেশাচ্ছেন। আর একদল ইট গেঁথে চলেছেন। অনেকের মুখেই মাস্কের বালাই নেই। বুধবার রাজ্য জুড়ে সার্বিক লকডাউনে এমন বিপরীত ছবি গেল তমলুক শহরে খোদ জেলাশাসকের অফিসের সামনে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে।
লকডাউনে নিয়ম ভাঙার এই ছবি নজর এড়ায়নি জরুরি কাজে বের হওয়ায় শহরবাসীর। আর তাতেই প্রশ্ন ওঠে পুরসভা ও পুলিশের নজরদারি নিয়ে। যদিও জেলাশাসকের অফিসের নির্দেশে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বন্ধ হয় ওই নির্মাণ কাজ। পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তমলুক শহরের প্রধান সড়ক সম্প্রসারণ-সহ সৌন্দর্যায়নের জন্য জেলাশাসকের অফিসের সামনেই একটি উদ্যান নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগে। গত ২৪ মার্চ থেকে লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ ছিল। এরপর গত পয়লা জুন আনলক পর্ব শুরুর পরে ফের কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে তমলুক শহরে গত ১৭ জুলাই থেকে লকডাউন চলছে। এ ছাড়া রাজ্য সরকার বুধবার সার্বিক লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউনের জেরে এদিন সকাল থেকে তমলুক শহরের সমস্ত দোকানপাট ও অফিস বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল গাড়ি চলাচল।বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বের হননি। ফলে সকাল থেকে শহরের সমস্ত এলাকা শুনশান ছিল। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বাহিনীর অভিযানও চলে। কিন্তু এর মাঝেও জেলাশাসকের অফিসের সামনে সড়কের পাশে উদ্যান নির্মাণের কাজ করছিলেন জনা কুড়ি শ্রমিক। তাঁদের অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। লকডাউন ভেঙে এভাবে কাজ করার করার কারণ জানতে চাইলে ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মী দাবি করেন, বিশেষ অনুমতি নিয়ে এই কাজ চলছে। যদিও বিষয়টি নজরে আসার পরেই জেলাশাসকের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘অল্প শ্রমিক নিয়ে ওই কাজ চলছিল। তবে খবর পাওয়া মাত্র কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন নন্দকুমার হাইরোডে দোকানে চা খেতে আসা এক যুবক পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে আটক করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাজারের একাংশ দোকানপাট খোলা থাকায় বাসিন্দাদের ভিড় হচ্ছিল। এদিন পুলিশের অভিযানে বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy