প্রাথমিক স্কুলের হেঁশেলেও এ বার থাকবে গ্যাস সিলিন্ডার। দেরিতে হলেও পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে উদ্যোগ। গ্যাসের সংযোগ নেওয়ার জন্য ইচ্ছুক স্কুলগুলোকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। রান্নার গ্যাসের সংযোগ ও পরিকাঠামো তৈরির খরচ বাবদ অর্থ বহন করবে রাজ্য সরকারই। তবে সিলিন্ডারের টাকা মিড ডে মিলের খরচ থেকে স্কুলকে দিতে হবে। প্রশাসনের আশা, প্রাথমিক স্কুলের হেঁসেলে গ্যাস সিলিন্ডার ঢুকলে একদিকে যেমন স্কুল চত্বরে ধোঁয়া কমবে, অন্য দিকে খরচও কমবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান নারায়ণ সাঁতরা বলেন, “মিড ডে মিল রান্নার জন্য প্রাথমিক স্কুলে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। ইচ্ছুক স্কুলকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদন খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” জঙ্গলমহলের এই জেলায় প্রায় ৪ হাজার প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫০০ স্কুলকে গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই মতো কাজ এগোচ্ছে। নারায়ণবাবুর আশ্বাস, “ধীরে ধীরে সমস্ত স্কুলেই এলপিজি ব্যবহার চালু করা হবে।”
মেদিনীপুর গ্রামীণের কেশবপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধন দে বলেন, “স্কুলে গ্যাসের সংযোগ এলে খুবই ভাল হয়। এতে খরচ কমবে। খরচ কমলে ওই টাকায় পড়ুয়াদের আরও ভাল সব্জি দেওয়া যেতে পারে।” মিড ডে মিলের জন্য রান্নার গ্যাসের ব্যবহারের প্রস্তাব আগেই দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কয়েকটি জেলায় এই প্রকল্প চালু হয়। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরে এতদিন এই প্রকল্প চালু হয়নি।
সাধারণত, কোনও স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫০- ১৬০ হলে সেখানে কাঠ বাবদ খরচ হয় মাসে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। গ্যাস সিলিন্ডার চালু হলে এই খরচ কমবে। মাসে দু’টি সিলিন্ডার লাগলে খরচ হবে ২,২০০ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy