Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Vande Bharat Express

‘মন্দ পথে’ কমল গতি বন্দে ভারতের

গত বুধবার রাতেই চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি থেকে এই খড়্গপুর ডিভিশন হয়েই এই সাঁতরাগাছি কারশেডে পৌঁছেছিল রাজ্যের দ্বিতীয় এই বন্দে ভারত।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ‘ট্রায়াল রান’এ শুক্রবার খড়্গপুরে পৌঁছে কেউ তুললেন ছবি, কেউ তুললেন নিজস্বী। নিজস্ব চিত্র

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ‘ট্রায়াল রান’এ শুক্রবার খড়্গপুরে পৌঁছে কেউ তুললেন ছবি, কেউ তুললেন নিজস্বী। নিজস্ব চিত্র kingshukaich@gmail.com

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:১৬
Share: Save:

রাজ্যের দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেখভাল ও পরিচালনার দায়িত্ব হাতে পেয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর রেল ডিভিশন। ছুটবে হাওড়া-পুরী রুটে। তবে এখনই যাত্রী নিয়ে নয়। আপাতত চলবে খুঁটিনাটি পরীক্ষা। অবশ্য সেই পরীক্ষামূলক সফরের প্রথম দিনেই ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে পুরী পৌঁছল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ অবশ্য ১৬০ কিলোমিটার। কেন এত ফারাক। রেল প্রশাসন সূত্রের খবর, কত গতিতে ট্রেন ছুটবে তার অনেকটাই নির্ভর করে রেলপথের পরিস্থিতির উপর।

শুক্রবার হাওড়া থেকে পুরী পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাল খড়্গপুর রেল ডিভিশন। গত বুধবার রাতেই চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি থেকে এই খড়্গপুর ডিভিশন হয়েই এই সাঁতরাগাছি কারশেডে পৌঁছেছিল রাজ্যের দ্বিতীয় এই বন্দে ভারত। সে দিন রাজ্যে প্রবেশের পরে প্রথম খড়্গপুর রেল স্টেশনেই দাঁড়িয়েছিল এই ট্রেনের রেক। তবে এ দিন পরীক্ষামূলক সফর শুরু হয় হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০মিনিটে। পুরী পৌঁছয় বেলা ১২টা ৩৫মিনিটে। তবে রাজ্যে হাওড়ার পরে প্রথম খড়্গপুর স্টেশনেই সকাল ৭টা ৩৮মিনিটে দাঁড়ায় এই ট্রেনটি। জানা গিয়েছে, হাওড়া-পুরী রুটে যাত্রী নিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হলে হাওড়ার পরে রাজ্যের মধ্যে একমাত্র খড়্গপুর স্টেশনেই দাঁড়াবে এই ট্রেন। এ দিন সেই প্রস্তুতিতেই পরীক্ষামূলক ভাবে এই ট্রেন চালানো হয়। এর পরে আগামী ৩০ এপ্রিল ফের এই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ভদ্রক পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। তবে প্রথমদিনে সফলভাবে গন্তব্যে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছেছে ট্রেনটি। এর জন্য ট্রেনটি ১৩০কিলোমিটার গতিবেগ ধরে রেখেছিল বলে রেল সূত্রে খবর। এ দিন এই ট্রেনের চালকের আসনে ছিলেন সিনিয়র লোকো পাইলট রাজা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দারুণ অভিজ্ঞতা। খুব ভাল লাগছে। ১৩০কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চালাচ্ছি।”

কেন সর্বোচ্চ গতির চেয়ে অনেকটা আগে থেমে গেল বন্দে ভারত? খড়্গপুর থেকে ওই ট্রেনে উঠেছিলেন এডিআরএম গিরিশ কুমার। তিনি বলেন, “বন্দে ভারত ১৬০কিলোমিটার গতিবেগে চলার ক্ষমতা থাকলেও আমাদের রেললাইনে সর্বোচ্চ ১৩০কিলোমিটার গতিবেগ তোলা সম্ভব। তাই ট্রেনের গতি ১৩০কিলোমিটার রাখা হয়েছিল।’’ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই রাজ্যের দ্বিতীয় এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হওয়ার আশা করছেন রেল কর্তৃপক্ষ। খড়্গপুর রেলের সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজেশ কুমার বলেন, “আপাতত কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানো হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে মিলবে শংসাপত্র। তার পরে রেল বোর্ডে রিপোর্ট পাঠানোর পরেই বন্দে ভারত চালুর সময়সূচি, ভাড়া সংক্রান্ত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি জারি করে হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আশা করছি মে মাসেই হাওড়া-পুরী এই বন্দে ভারত যাত্রী নিয়ে রওনা দেবে।”

এমন ঘটনায় উচ্ছ্বসিত খড়্গপুর তথা জেলাবাসীও। এ দিন পরীক্ষামূলক সফরে পাঁশকুড়া, বালিচক, বেলদা, নারায়ণগড়ের মতো স্টেশনে এই ট্রেন না দাঁড়ালেও স্থানীয় মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল নজরকাড়া। বিভিন্ন স্টেশনে চলন্ত ট্রেনের ভিডিয়ো, ছবি মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করেছে উৎসুক মানুষ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy