বেহাল ডিঙালের রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার রাস্তা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক রিপোর্টে এমন তথ্য সামনে আসায় মাথায় হাত জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে কয়েক কোটি টাকা প্রয়োজন। মেরামতের অর্থ চেয়ে রাজ্যের কাছে দরবারও করবে জেলা। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি মানছেন, “বেশ কয়েকটি রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। এখনই মেরামত জরুরি। তার জন্য সব রকম চেষ্টাও চলছে।’’
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এর আগে ২০১৫, ২০১৩ সালেও বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছিল। কিন্তু রাস্তার এতটা ক্ষতি হয়নি। তবে ২০০৭ সালে ক্ষতির পরিমাণ বেশি ছিল। এ বার বন্যায় সব থেকে বেশি এলাকা ডুবেছিল ঘাটালে। সেখানে বেশ কয়েকটি রাস্তার একশো শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল নামার পর দেখা যাচ্ছে, রাস্তা ধুয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুক-ডিঙ্গল ৪.৮ কিলোমিটার রাস্তা, কালিসা-বালিডাঙা ৬.২৫ কিলোমিটার রাস্তা, দুবরাজপুর-ঘনশ্যামপুর ২৬.২৯ কিলোমিটার রাস্তা।
পশ্চিম মেদিনীপুরে সব মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। বেশিরভাগটাই পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তা। রয়েছে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক, জেলা পরিষদের রাস্তা, পুরসভার রাস্তা এবং শহরতলির রাস্তাও। পঞ্চায়েতের রাস্তাই প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। বন্যায় সব ধরনের রাস্তায় কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা, কেশপুরের মতো বানভাসি এলাকায় পঞ্চায়েতের রাস্তাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পিচ উঠে এবড়ো-খেবড়ো অবস্থা। এই পরিস্থিতি গাড়ি চললে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরিস্থিতি দেখে দ্রুত রাস্তা মেরামতে জোর দিচ্ছে জেলা পরিষদ। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবালবাবু জানালেন, জল নামার পরে কয়েকটি রাস্তা পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শন এখনও চলছে। কয়েকটি রাস্তা অস্থায়ী ভাবে মেরামত করা হবে। পরে নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy