ই-টিকিটে জালিয়াতি ধরা প়ড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে খড়্গপুর রেলের অপরাধদমন শাখা একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত পঞ্চানন চানকের বাড়ি ঘাটালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গম্ভীরনগরে।
তিনি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খুলে ট্রেনের ই-টিকিট চড়া দামে বিক্রি করছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘাটালে হানা দেয় রেলের অপরাধদমন শাখা। ঘাটালে কোঁজ মেলে একটি দোকানের, যেখানে সহজে রেলের টিকিট পাওয়া যায়। সেখান থেকেই পঞ্চাননকে পাকড়াও করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি কম্পিউটার।
জানা গিয়ে পাঁশকুড়া, মেচেদা-সহ বিভিন্ন স্টেশনে পেপার টিকিটেও কালোবাজারি করতেন পঞ্চানন। সে জন্যই শুক্রবার তাঁকে পাশকুড়া আরপিএফ পোস্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রেলের অপরাধদমন শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রেলযাত্রীদের ‘সহজে টিকিট পাইয়ে দেওয়া’র ব্যবসা ফেঁদেছিলেন পঞ্চানন। আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খুলে ই-টিকিট কিনছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বাজার থেকে ট্রেনের আসন খোঁজার একটি বিশেষ সফটওয়্যারও কিনে নিয়েছিলেন। তার মাধ্যমে একই সময়ে বিভিন্ন ট্রেনের ফাঁকা আসন খুঁজে দ্রুত দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট বুকিং করে ফেলতেন তিনি। তারপরে সেই টিকিট রেলযাত্রীদের চড়া দামে বিক্রি করে দিতেন।
রেলের অপরাধদমন শাখার খড়্গপুরের ওসি শিশিরকুমার দাস বলেন, “বাজারে বা অনলাইনে ট্রেনের আসন খোঁজার সফটওয়্যার কেনা অপরাধ নয়। কিন্তু ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তা থেকে ই-টিকিট কেটে বাজারে চড়া দামে বিক্রি অপরাধ।”
নিয়ম অনুযায়ী, কেউ আইআরটিটিসি-র এজেন্সি নিয়ে এই ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। তা ছা়ড়া ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে শুধুমাত্র নিজের প্রয়োজনের টিকিট কেনা যায়। কিন্তু সেই টিকিট বাজারে বিক্রি করা রেলের আইনে অপরাধ। সম্প্রতি তদন্তে উঠে আসে পঞ্চানন চানকের নাম। ঘাটাল থেকে এমন টিকিট প্রায়ই বুকিং করছেন।
পঞ্চানন নিজেও গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। এর পরেই রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, আটটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে রেখেছিলেন পঞ্চানন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy