ক্ষোভ: রাস্তা সারানোর দাবিতে নিমতৌড়িতে দিন কয়েক হয়েছিল অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
দু’বছরে জেলার উপরে আছড়ে পড়েছে আমপান, ইয়াসের মতো দু’টি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তাতে ঘরবাড়ি, ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। সেই সব রাস্তার অনেকাংশই এতদিনেও মেরামত না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকাবাসীদের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা রাজ্য সড়ক এবং জেলাপরিষদের অধীনে থাকা গ্রামীণ সড়ক, কংক্রিটের রাস্তা আসন্ন দুর্গাপুজোর আগে মেরামতিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন।
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, তমলুক থেকে শ্রীরামপুর, কাঁথি থেকে এগরা, কাঁথি থেকে রসুলপুরের মতো জেলার বিভিন্ন রাজ্য সড়কের বেহাল অংশগুলির মেরামতির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। পূর্ত দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার অনুপ মাইতি বলেন, ‘‘জেলার বিভিন্ন সড়কে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। বর্ষা কাটলেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হবে।’’
অন্যদিকে, জেলা পরিষদের তরফে ইয়াস ঝড়ের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ৪১টি পাকা, কংক্রিট এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নির্মিত ১৭টি গ্রামীণ সড়কের মেরামতির জন্য দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৪১টি পাকা এবং কংক্রিট রাস্তা মেরামতির জন্য ২০ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ থেকে ওই অর্থ খরচ করা হবে। ১৭টি গ্রামীণ সড়ক মেতামতির জন্য চার কোটি ৪৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ দফতর থেকে ওই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মে-র ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে জেলার উপকূলবর্তী রামনগর-১, ২, ব্লক কাঁথি-১, দেশপ্রাণ, কাঁথি-৩, খেজুরি-১, ২, নন্দীগ্রাম-১, ২ ব্লক এবং নদীতীরবর্তী মহিষাদল, নন্দকুমার, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ব্লকে বহু রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জেলা পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, তাদের অধীনে থাকা ১৭টি পাকা সড়ক, কংক্রিট ও মোরাম রাস্তা মিলিয়ে ৪৬৫টি রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর ফলে ওই সমস্ত রাস্তার উপরে নির্ভরশীল বাসিন্দাদের যাতায়াতে দুর্ভোগ হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সাম্প্রতিক সময়ের বর্ষায় ভাঙা রাস্তায় জল জমে পরিস্থিতি আরও খারপ হয়েছিল।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ স্বপন দাস বলছেন, ‘‘ইয়াসেক্ষতি হওয়া ১৭টি গ্রামীণ সড়ক, ৪১টি পাকা ও কংক্রিট রাস্তা মেরামতির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। চলতি সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা সম্পন্ন করে পুজোর আগে কাজ শুরুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’’ গ্রামীণ সড়ক মেরামতি কাজের অনুমোদন দেওয়ার পরে দু’মাসের মধ্যে তা শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হচ্ছে। পাকা ও কংক্রিট রাস্তা মেরামতির জন্য তিন-চার মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী নববর্ষের আগেই ওই সব রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জেলা পরিষদ কর্তাদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy