মুখোমুখি: অভিযোগ শুনছেন শঙ্কর দোলই। সুলতানপুরে। নিজস্ব চিত্র
ফাঁকি দিয়ে পার পাওয়া যাবে না! ফের টের পেলেন জঙ্গলমহলের আরেক তৃণমূল বিধায়ক।
ভুল রিপোর্ট দিয়ে দু’দিন আগেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ফোন পেয়েছেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো। এ বার পিকে-র দলের নজরে এসেছে, ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদাও নিয়ম মানেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে জনসংযোগে বেরিয়ে বাড়ি-বাড়ি না গিয়ে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কিছু লোকজনকে ডেকে কথা বলে ফিরে গিয়েছেন বিধায়ক। এতে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে।
বিধায়ক সুকুমার অবশ্য এ ব্যাপারে নির্বিকার। তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, তাঁদের ফোনে পাইনি বলে যাওয়া হয়নি।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার মানিকপাড়ায় খুব ভাল কর্মসূচি হয়েছে। অনেক লোকজন এসেছিলেন।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিরবাহা সরেন বলেন, ‘‘সুকুমারবাবু পাঁচটি বাড়িতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি গিয়েছিলেন কি-না সেটা আর খোঁজ নেওয়া হয়নি।’’
ঝাড়গ্রাম জেলায় গত ২ অগস্ট ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূল বিধায়করা। ওই দিন সুকুমার গিয়েছিলেন লালগড়ের ধরমপুরে। এরপর চিকিৎসা করাতে তিনি কলকাতায় চলে যান। সপ্তাহ তিনেকের বেশি কলকাতায় থাকার পরে গত বুধবার ফের জনসংযোগে নামেন সুকুমার। বিনপুর-১ ব্লকের কুই গ্রামে দলের এক কর্মীর বাড়িতে রাতও কাটান। বৃহস্পতিবার মানিকপাড়ার যান সুকুমার। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভানেত্রী বিরবাহা সরেন, দলের ঝাড়গ্রাম ব্লক সভাপতি রবীন্দ্র মাহাতো, ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেখা সরেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে মানিকপাড়ার কৃষ্ণবাঁধ মৌজায় এক অঙ্গনওয়াড়িতে লোকজনকে ডেকে অভাব-অভিযোগ শোনেন বিধায়ক। ঘন্টাখানেক পরে ফিরে যান। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, পিকে-র টিম থেকে এলাকার পাঁচ জনের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছি সুকুমারকে। মানিকপাড়ায় রাত কাটাতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু বিধায়ক তা করেননি। পরে ফোন করে পিকে-র সংস্থা থেকে বাসিন্দাদের কাছে খোঁজ নেওয়া হয়। তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে।
মানিকপাড়ার মেয়েদের এক অনাথ আশ্রমের সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে বিধায়ক নিজে আমাকে ফোন করে দিদিকে বলো কর্মসূচিতে আমার বাড়িতে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে শুনলাম উনি মেয়েদের আশ্রমে আসবেন। সে অপেক্ষায় করছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিধায়ক আসেননি। শুক্রবার পিকে-র লোকজন ফোন করে আমার কাছে জানতে চান, বিধায়ক এসেছিলেন কি-না, উনি যে আসেননি সেটা জানিয়েছি।’’ বিজেপি পরিচালিত মানিকপাড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিনয় মাহাতোও পিকে-র টিমের ফোন পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিধায়ক যে বাড়ি-বাড়ি যাননি সে কথা জানিয়েছি।’’ মানিকপাড়ার তৃণমূল নেতা মহাশিস মাহাতোর মতে, ‘‘বিধায়ক যদি এলাকায় ঘুরে মানুষের অভাব-অভিযোগই না-শোনেন, তাহলে এই কর্মসূচির যৌক্তিকতা কোথায়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy