কুলিয়ানা গ্রামের বেহাল রাস্তা। নিজস্ব চিত্র ranjan pal
গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের গ্রাম কুলিয়ানা। এখানেই বাড়ি বিজেপি সাংসদ তথা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের।সেই গ্রাম যেতেই দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে হাঁটু জল। গ্রামে অপ্রাপ্তির ক্ষোভও রয়েছে। তবে তা শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে। আর এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই ভোট বৈতরণী পেরোতে চাইছেন নির্দল প্রার্থী।
রান্টুয়া মোড় থেকে কুলিয়ানা যাওয়ার পথে কিছুটা এগোলেই নবোদয় স্কুল মোড়। সেখান থেকে শান্তি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা হয়েছিল বছর ছয়েক আগে। কিন্তু শান্তি মোড় থেকে কুলিয়ানার বকুলতলা চক অব্দি দেড় কিমি রাস্তা গর্তে ভর্তি। বর্ষায় জল জমে চলাই দায়। গ্রামের অধিকাংশ লোকজন নিজস্ব উদ্যোগে কয়েকবার রাস্তা সংস্কার করেছেন। কুলিয়ানা শিব মন্দির থেকে দিলীপের বাড়ি পর্যন্ত ২০০ মিটার রাস্তা আবার ঢালাই হয়েছে। কিন্তু গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তাই তো খারাপ! পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ ঘোষের কাকিমা রেণুবালা ঘোষ বলেন, ‘‘চারদিকে রাস্তা হল, অথচ গ্রামের রাস্তাটা হল না। দিলীপ তো অনেক বড় নেতা। রাস্তা তৈরি করলে ওর প্রেস্ট্রিজ চলে যাবে।’’ রেণুবালার আরও আক্ষেপ, "আমরা লক্ষমীর ভান্ডারের টাকা পাইনি। যাদের পাকা বাড়ি আছে, তারা বাড়ি পেয়েছে। আমরা বাড়িও পাইনি।" হৃষিকেশ ঘোষ, কামিনী হাতিয়ালের মতো অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল, বিজেপি- দু’দলের বিরুদ্ধেই। বললেন, ‘‘এত খারাপ রাস্তা কোথাও কি আছে? তৃণমূল-বিজেপি কেউ কাজ করেনি। প্রকৃত প্রাপকরা ভাতা ও বাড়ি পাচ্ছে না। বার বার ব্লক অফিস গিয়েও সুরাহা হয়নি।’’কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতটি গতবার বিজেপি দখল করেছিল। পঞ্চায়েতে সমিতিতে ছিল তৃণমূল। এ বার ভোটের আগে জেলায় ১৫৮টি রাস্তা পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পে উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই রাস্তার হাল ফেরাতে কোনও দলই উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ। এ বার গ্রামের দুটি বুথের একটিতে বিজেপির প্রার্থীও নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy