ঘুম তাড়াতে চালকদের হাতে চায়ের কাপ তুলে দিচ্ছে পুলিশ। শনিবার রাতে কাঁথিতে। নিজস্ব চিত্র
ফের বেপরোয়া গতির জন্য নন্দকুমার–দিঘা জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার রাতে কাঁথি থানার সুবর্ণদিঘি গ্রামের কাছে নয়ানজুলি গাড়ি উল্টে গেলে মারা যান অরূপ প্রধান (২৫)। আহত হয়েছেন তমাল মাইতি। পুলিশ জানিয়েছে দুজনেই কাঁথি থানার তেঁতুলমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ভোরে মারিশদার কাছে বাস ও গাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৬ জনের। বেপরোয়া গতি এবং ওভারটেকের কারণে ওই দুর্ঘটনায় ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেলেও উঠে আসে ভোরবেলা চালকের ঘুমিয়ে পড়ার তত্ত্বও। কয়েক মাস আগে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাতে এই সড়কে গাড়ি চালকদের থামিয়ে যাতে তারা ঘুমিয়ে না পড়েন সে জন্য চোখেমুখে জল দেওয়া থেকে চা পানের ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। কিন্তু দিন কয়েক আগে ওই দুর্ঘটনার পর ফের তৎপর হয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে গাড়ি চালকদের থামিয়ে তাদের চা, জল ইত্যাদি দিতে দেখা গিয়েছে কাঁথি থানার পুলিশকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, অরূপ ও তমাল মন্দারমণি থেকে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ছোট গাড়িতে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সুবর্ণদিঘি গ্রামের কাছে গাড়িটি পাল্টি খেয়ে নয়নজুলিতে পড়ে যায়। গাড়ি চালাচ্ছিলেন অরূপ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কাঁথি থানার পুলিশ তমালকে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাঁকে কলকাতা রেফার করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের দাবি, প্রচণ্ড গতিতে যাওয়ার ফলেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় সামনের অংশ। এই প্রেক্ষিতে ফের নন্দকুমার–দিঘা জাতীয় সড়কে বিভিন্ন জায়গায় রাত্রিকালীন চেকিংয়ের ব্যাবস্থা করেছে বিভিন্ন থানার পুলিশ।
কাঁথির মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য বলেন, “দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। চালক মদ্যপ কিনা তা পরীক্ষা করা ও রাতে চালকেরা যাতে ঘুমিয়ে না পড়েন সে জন্য তাঁদের চোখেমুখে জলের ঝাপটা দেওয়া এবং চা, জলপানের ব্যবস্থাও করছে পুলিশ।’’ জেলার পুলিশ সুপার ভি সলমন নেসাকুমার জানান, রাতে দুর্ঘটনা রুখতে বিভিন্ন থানার ট্রাফিক পুলিশ পোর্টেবল বডি লাইট ব্যবহার করছেন।
দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশের এমন ভূমিকায় খুশি বাসের যাত্রী থেকে চালক, সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy