২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরেও তমলুক এবং নন্দীগ্রামে উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ সম্পর্কে অন্ধকারে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ। রবিবার পর্যন্ত ওই দুই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের মুণ্ড দু’টিরও সন্ধান মেলেনি। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শ্রীহরি পাণ্ডে বলেন, ‘‘তমলুক ও নন্দীগ্রামে উদ্ধার হওয়া ওই দুই মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনা দু’টির মধ্যে কোনও যোগসূত্রও পাওয়া যায়নি। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।’’
শনিবার সকালে তমলুক থানার নীলকুণ্ঠা পঞ্চায়েত এলাকার গড়কিল্লা গ্রামে স্থানীয় চণ্ডীচরণ মান্নার পান বরজের মধ্যে এক তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ মেলে। শরীরে সিঁদুরের দাগ এবং দেহের উপর যজ্ঞের নানা সামগ্রী দেখে এলাকায় আলোড়ন পড়ে। পুলিশেরও প্রাথমিক ধারণা ছিল, এই ঘটনায় কোনও তান্ত্রিক জড়িত থাকতে পারে। তবে ওই পর্যন্তই, ঘটনায় আর কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ। খড়্গপুর থেকে পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি চালিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
শনিবার সকালেই জেলার নন্দীগ্রাম থানার মনুচক জালপাই গ্রামের পঞ্চাননতলা এলাকায় ঝোপের মধ্যে এক তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ মেলে। সেটিও ছিল মুণ্ডহীন। তবে এখানে যজ্ঞের কোনও উপকরণ মেলেনি। নন্দীগ্রামের উদ্ধার হওয়া এই তরুণীর পরিচয়ও জানতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি মুণ্ডের হদিস। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘এখনও ঘটনার কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে ধর্ষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সব দিকই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ তমলুক ও নন্দীগ্রামের এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার জেলার মেচেদা, রামতারক, নোনাকুড়ি বাজারে পথসভা করে এসইউসি-র মহিলা সংগঠন। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। আজ, সোমবার জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেবে সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy