Advertisement
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Jhargram

গলা টিপে মেরে স্ত্রীকে ফেলে দেন নদীতে! সন্তানদের সাক্ষ্যে আসামি বাবাকে সাজা দিল ঝাড়গ্রাম আদালত

দুই নাবালক সন্তান সাক্ষ্য দেয় বাবার বিরুদ্ধে। আদালতে তারা জানায় মাকে খুন করেছেন বাবাই। আরও বেশ কয়েক জন সাক্ষীর বয়ানকে ভিত্তি করে অভিযুক্ত বুবলুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৬
Share: Save:

নাবালক দুই সন্তানের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ১১ বছর পুরনো মামলায় আসামিকে সাজা দিল ঝাড়গ্রামের আদালত। ২০১৩ সালের ঝাড়গ্রামের জামবনিতে রেখা দাস হত্যায় তাঁর স্বামী বুবলু দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন ঝাড়গ্রাম আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে হয়েছে আসামিকে।

বছর ১১ আগে ঝাড়গ্রামে ডুলুং নদী থেকে উদ্ধার হয় এক যুবতীর দেহ। পরে মৃতার পরিচয় জানা যায়। জানা যায়, কাজে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে গিয়েছিলেন জামবনি থানার বাসিন্দা রেখা। কিন্তু তার পর তাঁর খোঁজ মেলেনি। পরের দিন নদী থেকে মেলে দেহ। মৃতার দাদা নির্মল দিগর অভিযোগ করেন, খুন করা হয়েছে বোনকে। তিনি বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। গ্রেফতার হন বুবলু। অভিযোগ, দাম্পত্য কলহের জন্য স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করে নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত।

চলে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া। তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী অফিসার সোমপ্রকাশ আচার্য। দুই নাবালক সন্তান সাক্ষ্য দেয় বাবার বিরুদ্ধে। আদালতে তারা জানায় মাকে খুন করেছেন বাবাই। আরও বেশ কয়েক জন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বুবলুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শুক্রবার আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ঝাড়গ্রামের দ্বিতীয় এডিজে কোর্ট। সরকারি আইনজীবী সত্যজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘২০১৩ সালের ওই মামলার তদন্ত নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। অনেক সাক্ষীই পরে মুখ ফেরান। তবে তদন্তকারীদের চেষ্টা এবং দুই নাবালক সন্তানের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই মামলায় আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE