Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সুতাহাটায় নাবালিকাকে ধর্ষণে ধৃত মূল অভিযুক্ত

নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবক একাধিকবার সহবাস করায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাকে বিয়ে করার কথা বললে সে হুমকি দেয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:০১
Share: Save:

হলদিয়ার সুতাহাটার খানপুরে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে নন্দকুমার থেকে গ্রেফতার করা হয় সেন্টু মণ্ডলকে। হলদিয়া মহকুমা পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, সেন্টুর বিরুদ্ধে পকসো মামলায় ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে।

নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবক একাধিকবার সহবাস করায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাকে বিয়ে করার কথা বললে সে হুমকি দেয়। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন কাজ না হওয়ায় ওই নাবালিকা হলদিয়ার মহকুমা শাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানায়। এর পরেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। মহকুমা শাসক পূর্ণেন্দু নস্কর নাবালিকার সঙ্গে দেখা করেন। নাবালিকার সমর্থনে আসরে নামে নাগরিক সমাজের লোকজন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জোরাল হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ফেরার থাকায় তাকে ধরা যাচ্ছিল না। রবিবার তাকে গ্রেফতারের পর সোমবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

কেন ধরা যাচ্ছিল না সেন্টুকে?

মহকুমা পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওর ‘সিম’ এর নম্বর থেকে দেখা যায় বেঙ্গালুরুর একটি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ বেশি হয়েছে। ওই নম্বরের খোঁজে গিয়ে বিহারের এক বাসিন্দাকে পায় পুলিশ। তাঁর সূত্র ধরেই জানা যায় সেন্টুর পরিচয়।

বিহারের ওই যুবক পুলিশের কাছে অভিযোগ করে, তাঁকেও প্রতারণা করেছে সেন্টু। এরপর বেঙ্গালুরু-সহ নানা জায়গায় সেন্টুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তার খোঁজ পাওয়ার পর তার গতিবিধি নজর রাখছিল পুলিশ। সেন্টুর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে দিয়ে তাকে রাজ্যে ডেকে পাঠানো হয়। রাজ্যে ঢোকার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE