Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

সিট বেল্ট পরামর্শ সভাধিপতিকেই 

পশ্চিম মেদিনীপুরে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমছে— এমনটাই দাবি করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৪
Share: Save:

পশ্চিম মেদিনীপুরে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমছে— এমনটাই দাবি করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানালেন, জেলায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমছে। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যাও কমছে। একই সঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘দুর্ঘটনা কমানোর জন্য শুধু পুলিশই যে চেষ্টা করছে তা নয়। পুরো প্রশাসনই চেষ্টা করছে।’’

খানিক পরে ওই একই মঞ্চে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি পথ নিরাপত্তায় হেলমেট ও সিট বেল্টের গুরুত্ব নিয়ে বলতে গিয়ে বললেন, ‘‘আমি গাড়িতে চড়লে সব সময় সিট বেল্ট পরি। কিন্তু সভাধিপতি এখনও ঠিক মতো রপ্ত করেননি। মঞ্চে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও বেশিরভাগ সিট বেল্ট পরেন না। আমরা সিনেমা থেকে নায়ক- নায়িকার চশমা, পোশাক নকল করি। কিন্তু সিল্ট বেল পরাটা লক্ষ্য করি না।’’ সভাধিপতি উত্তরা সিংহ তখন মঞ্চে বসে।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অন্তরাদেবী অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি প্রায়ই সিটবেল্ট ব্যবহার করেন।

শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পথ নিরাপত্তা নিয়ে এক মাসব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি। এ দিন বিকেলে মেদিনীপুরের এলআইসি মোড়ে সেই কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। ছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া প্রমুখ।

এ দিন জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমি যখন জেলায় এসেছিলাম, তখন বলেছিলাম, এখানকার মানুষ যাতে হেলমেট পরেন সেই চেষ্টা করব। এখন দেখবেন, ৭০ শতাংশ বাইকে হেলমেট থাকে।’’ জেলা পুলিশের দাবি, গত এক বছরে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা ১০ শতাংশ কমেছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে জেলায় পথ দুর্ঘটনায় ৬০ জন কম মারা গিয়েছেন। ট্রাফিক আইন না- মানলে জরিমানা আদায় করা হয়। জেলায় সেই জরিমানা আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

জেলাশাসক পি মোহন গাঁধীর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে এই প্রকল্প নিয়ে খোঁজ নেন।’’ এর পাশাপাশি জেলাশাসক যোগ করেন, ‘‘আগের থেকে সচেতনতা বেড়েছে। তা আরও বাড়াতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Police Seat belt Paschim Medinipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE