টিম তো তৈরি। কিন্তু কে হবেন অধিনায়ক? এই প্রশ্নই ঘুরছে জেলা রাজনীতির অলি-গলিতে।
আগামী মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন হবে। কে আসবেন পদে। নতুন কেউ? নাকি রাজ্য নেতৃত্ব ভরসা রাখবেন পুরনো মুখের উপরেই? জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহল আর প্রশাসনের অন্দরে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদটি মহিলা সংরক্ষিত রয়েছে। দলের এক সূত্রের দাবি, বর্তমান সভাধিপতি উত্তরা সিংহই ফের সভাধিপতি হবেন। আবার অন্য এক সূত্রের দাবি, দৌড়ে আরও তিন মহিলা রয়েছেন। একজন আবার আদিবাসী। খড়্গপুর মহকুমা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
অধিনায়ক বাছাইয়ের দিন ঘিরেও চলছে আলোচনা। তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলের নির্বাচিত সদস্যদের অনেকে চেয়েছিলেন, মঙ্গলে নয়, বুধবারে এই নির্বাচন হোক। বুধবার দিনটা না কি সবদিক থেকেই ভাল! জেলা পরিষদে দলের নির্বাচিত এক সদস্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “খনার বচনই তো রয়েছে, ‘মঙ্গলে ঊষা বুধে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা’। অর্থাৎ বুধের শুরুতেই যদি যাত্রা করা যায় তাহলে সব কাজে সফল হওয়া যায়।” জেলা পরিষদের নথি ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রথম আসা ওই বুধবারেই। ২০১৩ সালের ভোটে জিতে প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ওই বছর সভাধিপতি নির্বাচন হয়েছিল বুধবারেই। কাকতালীয় ভাবে দিনটা ছিল ১১ সেপ্টেম্বরই।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য এ সব মানতে চাননি। সব ফুত্কারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। অজিতের জবাব, “সব ফালতু কথা! কে কী চাইলেন তাতে কী এসে যায়! এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। মঙ্গলবারেই সভাধিপতি নির্বাচন হবে।” কিন্তু কে হবেন সভাধিপতি? তৃণমূলের জেলা সভাপতির মন্তব্য, ‘‘সভাধিপতির ব্যাপারে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”
রসিকতা হোক বা মৃদু আর্জি— মঙ্গল, বুধ নিয়ে যাই চলুক না কেন শাসকদল সূত্রের খবর, পুরনো টিমের অনেক সদস্যের কপালেই হয়ত এ বার ‘শনি’ নাচছে। অর্থাৎ পুরনো বোর্ডের অনেকেই এ বার টিমে জায়গা না-ও পেতে পারেন। দলের এক সূত্রের দাবি, খড়্গপুর মহকুমা থেকে নির্বাচিত একজনের, মেদিনীপুর মহকুমা থেকে নির্বাচিত দু’জনের এবং ঘাটাল মহকুমা থেকে নির্বাচিত একজনের না কি কর্মাধ্যক্ষ পদে ফিরে আসা কঠিন।
জল্পনার মধ্যেই রাজ্য সভাপতি তথা জেলার পর্যবেক্ষক সুব্রত বক্সীর জরুরি তলবে বৃহস্পতিবার বিকেলে তড়িঘড়ি কলকাতায় যান জেলা তৃণমূল সভাপতি। তা হলে কি সভাধিপতি নিয়ে আলোচনা করতেই জরুরি তলব? অজিতের কথায়, “নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্যদের ব্যাপারে দলের রাজ্য সভাপতি কিছু জানতে চেয়েছিলেন। সেটাই জানিয়েছি। আর অন্য কিছু নয়!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy