Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আইআইটি হাসপাতালে বহির্বিভাগ ডিসেম্বরেই

‘বিসি রায় ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ’ নামে আইআইটির এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ চালু হওয়ার কথা আগামী বছর। চলতি বছর ডিসেম্বরেই অবশ্য বহির্বিভাগ চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।

খড়্গপুর আইআইটি।—ফাইল চিত্র

খড়্গপুর আইআইটি।—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৩৭
Share: Save:

আইআইটি খড়্গপুরের নবনির্মিত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালুর কথা আগেই ঘোষণা হয়েছিল। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরেই চালু হবে হাসপাতালের বহির্বিভাগ। বছর ঘুরলে অন্তর্বিভাগ চালুর পরিকল্পনা চলছে। হাসপাতাল পুরোপুরি চালু হওয়ার দু’বছর পরে এমবিবিএস কোর্সও চালু করতে চলেছে খড়্গপুর আইআইটি।

‘বিসি রায় ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ’ নামে আইআইটির এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ চালু হওয়ার কথা আগামী বছর। চলতি বছর ডিসেম্বরেই অবশ্য বহির্বিভাগ চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরে ৫০টি আসনে এমবিবিএস কোর্স চালুর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সে ক্ষেত্রে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এই কোর্স চালু করা হতে পারে বলে মনে করছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স চালুরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সব কোর্সই মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-র নির্ধারিত পাঠ্যক্রম অনুযায়ী চলবে।

আইআইটির রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, “হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালুর অন্তর্বিভাগ চালু হতে পাঁচ-ছ’মাস সময় লাগবে। নিময় অনুযায়ী পুরোদমে হাসপাতাল চালুর দু’বছর পরে এমসিআই-এর কাছে আবেদন করা যায়। সেই অনুযায়ী হাসপাতাল চালুর দু’বছর পর দ্রুত এমবিবিএস কোর্স চালুর চেষ্টা করব আমরা।” আইআইটি-র নিজস্ব একটি সংস্থা হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও পড়াশোনার দিকটি আইআইটি সরাসরি পরিচালনা করবে। এক প্রেস বিবৃতিতে আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা শ্রীমান ভট্টাচার্য বলেছেন, “এমবিবিএস পাঠ্যক্রমে আসনের সংখ্যা প্রথম পর্যায়ে ৫০ হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে তা বাড়িয়ে ১০০টি করা হবে।”

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০১৩ সাল নাগাদ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ গড়ার পরিকল্পনা নেয়। ঠিক হয়, খড়্গপুরের বলরামপুরে প্রায় ৪৩ একর জমিতে এই প্রকল্প গড়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ৪০০ শয্যার হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের কথা ঘোষণা হয়। সমগ্র প্রকল্পটি প্রায় ২৩০কোটি টাকা ব্যয়ে গড়া হবে বলে ঠিক হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছে, বাকি টাকা দিয়েছে আইআইটি।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০০ থেকে বাড়িয়ে শয্যা সংখ্যা ৭৫০ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য এইএমস, টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় করছে আইআইটি। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রোগীদের চাপ সামলাতে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক তথা আইআইটি খড়্গপুরের অতিথি অধ্যাপক চিকিৎসক শতদল সাহা বলেন, “ভ্রাম্যমাণ এই স্বাস্থ্য ইউনিটগুলি মৌলিক রোগ নির্ণয় করবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

IIT Kharagpur OPD Superspecialty Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy