বিস্ফোরণে ভেঙে গিয়েছে বাড়ির একাংশ। — নিজস্ব চিত্র।
প্রতিবেশীর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল এক স্কুল পড়ুয়ার দেহ। সেই সঙ্গে গুরুতর জখম হয়েছেন এক মহিলাও। মঙ্গলবার বেলার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার সাধুয়াপোতার পূর্ব চিল্কা গ্রামে। নিহতের নাম শম্ভু সামন্ত (১৭)। শম্ভু নবম শ্রেণির ছাত্র। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। শ্রীকান্ত ভক্তা নামে পূর্ব চিল্কা গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে ওই বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ দেখতে পান শ্রীকান্তর বাড়িতে ছিন্নভিন্ন হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে শম্ভুর দেহ। সেই সঙ্গে বাড়ির মধ্যে থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় স্বর্ণময়ী বক্তা (৪০) নামের এক মহিলাকে। তাঁকে প্রথমে পাঁশকুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাড়িতে মজুত রাখা বাজি ফেটেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তার জেরে ধসে পড়ে পাকা বাড়ির একাংশ।
শাহরুখ হোসেন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘শ্রীকান্তর বাড়ি থেকে জানানো হয়েছিল, বাজি তৈরির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বাড়ির মধ্যে বিপুল পরিমাণে বাজি মজুত করা হয়েছিল। সেই বাজিতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। নিহত কিশোর শ্রীকান্তর প্রতিবেশী। কোনও কারণে সেই সময় ওই বাড়িতে গিয়েছিল শম্ভু। তখনই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির সদস্য ৫ জন। ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁদের কারও।’’ অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘অবৈধ ভাবে বাজি মজুত করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এক জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy