মানিকের এই গ্রেফতারির খবর পেয়ে খুশি ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীরা। নিজস্ব চিত্র
শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সোমবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মানিকের এই গ্রেফতারির খবর পেয়ে খুশি ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীরা। তবে শুধু গ্রেফতারি নয়, দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ চাইছেন তাঁরা।
রেড রোডে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে চাকরির দাবিতে ধর্নায় বসেছেন একদল টেট-উত্তীর্ণ প্রার্থী। সকলেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের ধর্না মঙ্গলবার ৫৬ দিনে পড়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অবস্থানরত এই চাকরিপ্রার্থীরা। ইডির পদক্ষেপে তাঁরা খুশি হয়েছেন ঠিকই, তবে চাকরিতে নিয়োগ না পেলে ধর্না চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ধর্নামঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থী সোমা পাল বলেন, ‘‘মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। মানিক বলেছিলেন, যদি কোনও দুর্নীতি প্রমাণ হয়, আপনাদের সকলকে ডেকে ডেকে চাকরি দেব। আর এখন তিনি নিজেই ইডির হেফাজতে। দুর্নীতি হয়েছে তা তো ইডি বলছে। সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছে। তা হলে আমরা কী দোষ করলাম?’’
আর এক চাকরিপ্রার্থী সুখেন সরকারের কথায়, ‘‘শুধু শুনছি দুর্নীতি হয়েছে। দেখছি গ্রেফতার হচ্ছে। কিন্তু আমরা যেখানে ছিলাম, সেখানেই রয়ে গিয়েছি। আমাদের কবে নিয়োগ হবে? নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আর এক জন বলেন, ‘‘মানিক ভট্টাচার্য বার বার বলেছিলেন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে। আজ তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। আমরা খুবই খুশি। আরও খুশি হব চাকরিটা পেলে।’’
সংবাদমাধ্যমকে আর এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘আমরা বিগত দু’বছর ধরে বিভিন্ন দফতরে ঘুরছি। আমাদের সঙ্গে যে দুর্নীতি হয়েছে তা বলার চেষ্টা করছি। সাদা খাতা জমা দিয়ে, ফেল করেও চাকরি পেয়ে গিয়েছে। আমরা যোগ্য হয়েও বঞ্চিত। আমাদের হকের চাকরি চুরি হয়ে গিয়েছে। মানিক ভট্টাচার্য বলেছিলেন দুর্নীতি প্রমাণ হলে লোকসমাজে মুখ দেখাবেন না। আমাদের তাতে যায় আসে না। আমাদের দ্রুত যেন নিয়োগপত্র দেওয়া হয়, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy