আদালতে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র
বাইক র্যালিকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই জেলা সহ সভাপতি- সহ ১৪ জন বিজেপি নেতাকর্মীকে। এর পাশাপাশি দাঁতনে বিডিওকে হেনস্থার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।
রবিবার বাইক র্যালিকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় গোয়ালতোড়ে। ওই ঘটনার পর রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দুই সহ সভাপতি রাজীব কুণ্ডু ও রঘুনাথ মান্না, গোয়ালতোড় দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি অনিরুদ্ধ দে- সহ ১৪ জন নেতাকর্মীকে। জেলার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকারি কাজে বাধাদান- সহ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।’’ সোমবার ধৃতদের গড়বেতা আদালতে তোলা হয়। প্রত্যেকেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
এই ঘটনায় ধৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছি। সেইসময় পুলিশ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল কিনা তা দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো হবে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য বলছেন, ‘‘বিজেপি ক্রমেই ধবংসের দিকে এগোচ্ছে। গোয়ালতোড়ের ঘটনাই তার প্রমাণ।’’
গড়বেতা আদালতে সরকারি আইনজীবী চিন্ময় চক্রবর্তী বলেন, "ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩ আইপিসি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, যেখানে কর্মরত অবস্থায় পুলিশকে বাধাদান, ভয় দেখানো, তাদের মারধর করার অভিযোগ আনা হয়েছে, এছাড়া জামিন অযোগ্য ৩ পিডিপিপি অ্যাক্টে মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।’’ ধৃতদের পক্ষে অন্যতম আইনজীবী সুনীল সিংহের দাবি, ‘‘আমার মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে।’’
রবিবার দাঁতন ১ বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দাঁতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিডিও। অভিযোগ পত্রে দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতির নামও রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বিজেপির দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি মোশাফ মল্লিকের দাবি, ‘‘সরকারি প্রকল্পে পক্ষপাতিত্ব নিয়ে আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল মানুষের। মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জনরোষ থেকে বিডিওকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy