এই এসডিও অফিসেই হবে ডিএম অফিস। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
নতুন ঝাড়গ্রাম জেলার প্রথম জেলাশাসক বসবেন ইংরেজ আমলে তৈরি হওয়া ঝাড়গ্রাম এসডিও অফিস-ভবনে!
প্রশাসন সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম মহকুমাশাসকের দফতরটি আপাতত অস্থায়ী ভাবে জেলাশাসকের দফতর হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী বছরের ১৫ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখের দিনে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা আত্মপ্রকাশ করছে। হাতে চার মাস মাত্র সময়। এত অল্প সময়ের মধ্যে নতুন জেলা কালেক্টরেট ভবন তৈরি করা সম্ভব নয়। জেলাশাসকের কার্যালয় কোথায় হবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে, আপাতত ঐতিহ্যের ভবনে অস্থায়ী ভাবে জেলাশাসকের দফতরের কাজ শুরু হবে।
১৯০১ সালে মেদিনীপুরের এক ইংরেজ কালেক্টরের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আগে ঝাড়গ্রামের বেশিরভাগ এলাকা ছিল জঙ্গলে ঘেরা। ১৯১০ সালে খড়্গপুর থেকে ঝাড়গ্রাম হয়ে কালিমাটি (এখনকার জামশেদপুর) পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হয়। ঝাড়গ্রামে তৈরি হয় স্টেশন। ধীরে ধীরে বন কেটে বসত গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে বাংলায় শুরু হয় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ও শাসন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজতে ১৯২২ সালের নভেম্বরে ঝাড়গ্রামকে মহকুমা ঘোষণা করা হয়। সরকারি নথি অনুযায়ী, মূল ভবনটির কাজ তারও আগে শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রথম মহকুমাশাসক নিযুক্ত হন ই টি কোটস্। বর্তমানে নকুলচন্দ্র মাহাতো হলেন ৭০ তম মহকুমাশাসক।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা কালেক্টরেট ভবন তৈরির জন্য ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ সংলগ্ন হেলিপ্যাডের কাছে জঙ্গলখাস মৌজায় ৭.১৫ একর সরকারি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন মিললে ওখানে জেলাশাসকের কার্যালয় তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বাম জমানায় ২০১০ সালের এপ্রিলে মাওবাদী দমনের জন্য ঝাড়গ্রাম মহকুমার ৯টি থানার মধ্যে ৮টি থানাকে নিয়ে পৃথক ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলা গঠিত হয়। লালগড় থানাটি পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পৃথক ঝাড়গ্রাম স্বাস্থ্যজেলা গঠিত হয়। ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালটিকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে উন্নীত করা হয়।
২০১২ সালের নভেম্বরে ঝাড়গ্রাম আবগারি জেলা গঠিত হয়। ঝাড়গ্রাম উপ সংশোধনাগারটিকে বিশেষ সংশোধনাগারে উন্নীত করা হয়েছে। সার্কিট হাউস তৈরির কাজ চলছে। এখন এসপি অফিসটি রয়েছে কদমকাননে ফরেস্ট ট্রেনিং সেন্টার চত্বরে। চিড়িয়াখানার যাওয়ার রাস্তার ধারে স্থায়ী এসপি অফিস, সেফ হাউস ও পুলিশ লাইন তৈরির কাজ চলেছে। ঝাড়গ্রাম ইন্সপেকশন বাংলো চত্বরে জেলা বিচারকের এজলাস চালু হবে আগামী ১ জানুয়ারি।
তারপর থেকে নতুন জেলা হওয়ার কাউন্ট ডাউন শুরু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy