বুধবার ঝাড়গ্রামে সিবিআই এবং ইডি’র উপস্থিতিতে বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থা এমপিএসের বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করলেন ওই সংস্থার আইনজীবীরা। এ দিন সকাল সাড়ে দশটায় ইডির সিজিও কমপ্লেক্সের সহকারি অধিকর্তা তপন ভট্টাচার্য এবং সিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর আকবর ইকবালের নেতৃত্বে ইডি-সিবিআইয়ের পাঁচ জনের দলটি ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠে দিঘিশোলে এমপিএসের বাণিজ্যিক ভবনে পৌঁছয়। আসেন এমপিএসের দুই আইনজীবী গৌরব দাস ও কৌশিক চৌধুরী। এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) বিবেক বর্মার নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে বাণিজ্যিক ভবনের সিল খোলে। তার পরে সিবিআই ও ইডি কর্তাদের উপস্থিতিতে সংস্থার সার্ভার থেকে সিডির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেন এমপিএসের আইনজীবীরা। বিকেল পর্যন্ত টানা সাত ঘন্টা ধরে নথি সংগ্রহের কাজ চলে। নথি সংগ্রহের পরে ফের সংস্থার অফিসটি সিল করে দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামে এমপিএসের প্রকল্প আধিকারিক তপনকুমার দাস বলেন, “এ দিন আমাদের আইনজীবীরা সার্ভার থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সিডির মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন। আগামী ৯ জুন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেন, সেদিকেই আমরা তাকিয়ে আছি।”
এমপিএসের সব অফিস বন্ধের পরে লগ্নিকারীদের টাকা ফেরাতে সংস্থার যাবতীয় সম্পত্তির খতিয়ান পেশের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। ঝাড়গ্রামে এমপিএসের সহযোগী সংস্থার অফিস ও গুদামে কত জিনিস মজুত রয়েছে, তার দাম কত, সে সবও হিসেব করে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৮ মে আমানতকারীদের আইজীবীদের উপস্থিতিতে ওই সব তথ্য-হিসেব সংগ্রহ করেছিলেন এমপিএসের আইনজীবীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy