আঁধার পথ আলোকিত করতে আরও মিনি মাস্ট (মাঝারি উঁচু) আলোকস্তম্ভ বসবে খড়্গপুর শহরে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বরাদ্দ করা ৫১ লক্ষ টাকায় শহরে প্রায় ৬০টি মিনিমাস্ট বাতিস্তম্ভ বসাবে পুরসভা।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সম্প্রতি খড়্গপুর শহরে হাই মাস্ট বাতিস্তম্ভ বসানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। যদিও ওই টাকায় শহরের পথে মিনি মাস্ট আলোকস্তম্ভ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এ নিয়ে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “রাজ্য সরকার হাই মাস্ট বাতিস্তম্ভ বসানোর জন্য ৫১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু শহরে হাই মাস্ট স্তম্ভ বসানোর প্রয়োজন নেই। তাছাড়া জায়গারও অভাব রয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘শহরের যে সব এলাকা এখনও রাতে অন্ধকারে ডুবে থাকে, বরাদ্দ টাকায় সেখানে আলোকস্তম্ভ বসানো হবে। সম্প্রতি বোর্ড মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
আগেই খড়্গপুর শহরের আইআইটি বাইপাস থেকে ডিভিসি, সুভাষপল্লি, গোলবাজার, আয়মা, মন্দিরতলা, মালঞ্চ-সহ বিভিন্ন এলাকায় মিনি-মাস্ট বাতিস্তম্ভ বসিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। বিএনআর ময়দান, ট্রাফিক ময়দান-সহ কয়েকটি মাঠেও আলোকস্তম্ভ বসানো হয়েছে। যদিও শহরের ইন্দা বয়েজ, তালবাগিচা হাইস্কুল, তালবাগিচা হসপিটাল ময়দান, আর্য বিদ্যাপীঠের মতো মাঠ এখনও রাতে অন্ধকারে ডুবে থাকে। এই সমস্ত মাঠ ছাড়া গোপীচক, হাতিগলা রেলসেতু, পুরাতনবাজার কবরখানা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকাতেও পথবাতি বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “শহর আলোকিত করা হচ্ছে ভাল কথা। কিন্তু এই সব পথবাতির বিদ্যুতের খরচ নিয়ে র্ডের ভাবনাচিন্তা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে ওই বাতিস্তম্ভে বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদ্যুতের খরচ তোলা যেতে পারে।”
অভিযোগ, খড়্গপুর শহরের নিকাশি ব্যবস্থা, আবর্জনা সাফাইয়ের মতো পুর পরিষেবাও মানও খারাপ। শহরবাসীর দাবি, এ বার এই সব বিষয়েও পুরসভার ভেবে দেখা উচিত। শহরে আরও গাছ লাগানো ও সৌন্দর্যায়ন করার দাবিও জানাচ্ছেন একাংশ বাসিন্দা। উঠছে শহরে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার দাবিও। পুরপ্রধান প্রদীপবাবু বলেন, “শহরে সৌন্দর্যায়নের চেষ্টা করছি। গাছের সংখ্যা বাড়াতে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে ইন্দা-চৌরঙ্গী রাস্তায় ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। আর প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে গেলে যে পরিকাঠামো প্রয়োজন তা আমাদের পুরসভায় এখনও নেই। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy