মানস ভুঁইয়া। — ফাইল চিত্র।
ইংরেজি ‘গান’ অর্থাৎ বন্দুক কেশপুরের অতি পরিচিত। সেই ‘গান’ ফেলে এ বার দলীয় কর্মীদের সুর-তাল-লয়ের গানে মাতার পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। কোন্দল ঠেকাতেই মিউজ়িক থেরাপির কথা বলেছেন চিকিৎসক-মানস।
কেশপুরের দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে নির্দেশ মন্ত্রী মানসের নির্দেশ— দলের মধ্যে আঁচড়াআঁচড়ি চলবে না। কেউ যদি নির্দেশ না মানেন? মানস বলছেন, ‘‘দলের নির্দেশ কেউ অমান্য করলে, সে যত বড়ই নেতা হোক, তাকে গান শুনতে হবে। শুধুই গান।’’ একাংশ নেতার মন্তব্য, ‘‘মানসদা বোধহয় মিউজিক থেরাপির কথাই বলতে চেয়েছেন।’’
কেশপুরে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি আনন্দপুরে জনসভা করবেন তিনি। এলাকায় দ্বন্দ্বে জীর্ণ তৃণমূল। গত কয়েক মাসেও নানা ঘটনায় কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। অভিষেকের সভার আগে যা মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় নেতৃত্বের। কোন্দলে রাশ টানতে তৎপর জেলা তৃণমূল। অভিষেকের জনসভার প্রস্তুতিতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে জেলা তৃণমূলের সভা হয়। পরে কেশপুরের যুযুধান পক্ষকে নিয়েও পৃথক রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি, কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা প্রমুখ।
অভিষেকের সভার আগে কেশপুরের কোন্দল সামলাতে শেষমেশ আপনাকেও মাঠে নামতে হল? মানসের জবাব, ‘‘কোথাও কিছু (কোন্দল) নেই। সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমি কেশপুরে সাইকেল করে ঘুরেছি তিরিশ বছর। আমি সবংয়ের লোক, মেদিনীপুরের লোক, আমি কেশপুরেরও লোক।’’ সঙ্গে জুড়েছেন, ‘‘আনন্দপুরে জনসভা হবে। এটা আমাদের কাছে একটা উপহার।’’
দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে মানসের নির্দেশ, কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে সেটা নিয়ে বাইরে বলা যাবে না। নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে লড়াইটা করতে হবে সিপিএমের বিরুদ্ধে, বিজেপির বিরুদ্ধে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পরে মানস বলেন, ‘‘আমরা কোনও দিন কেশপুরের এতটুকু ক্ষতি করতে দেব না। আমরা এক পরিবারের সদস্য হয়ে খুনসুটি করতে পারি। কিন্তু আঁচড়াআঁচড়ি করব না।’’ অজিত বলেন, ‘‘কেশপুরে কেউ কেশে ফেললে, কেউ হেঁচে ফেললেও সেটা সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে! সেই জন্য বৈঠকে সবাইকে বলেছি, তোমরা কাশি, হাঁচিটা বন্ধ করো!’’ কোন্দল নেই দাবি করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেশপুরে যদি চারটে বোমা পড়ত, চারটে গুলি চলত, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা দেখতাম। অহেতুক চর্চা চলছে!’’
মানসেরও দাবি, ‘‘বড় সংসার হলে টুকটাক নিজেদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা, বিতর্ক হয়েই থাকে।’’ বৈঠকে কী নিদান দিলেন? অজিত শোনাচ্ছেন, ‘‘মানসদার মতো সিনিয়র লিডার বুঝিয়ে সব বলেছেন।’’ মন্ত্রী ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন? কেশপুরের এক তৃণমূল নেতা মনে করাচ্ছেন, ‘‘মিউজিক থেরাপি বলতে কেবল গান শোনা নয়, পাশাপাশি গান করা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, গান লেখা ইত্যাদি বিষয়গুলিও সেখানেরয়েছে কিন্তু!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy