মুখ্যমন্ত্রীর মেদিনীপুর শহরের কর্নেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজোর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধনের পর ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধন করেন জেলাশাসক আয়েষা রানি ও বিধায়ক জুন মালিয়া। নিজস্ব চিত্র
মহালয়াতেই পুজো শুরু হয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরে। রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ১০টি পুজোর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার ঘাটাল শহরের ন্যাশনাল বয়েজ় ক্লাবের পুজো ও কুশপাতার ১৭-এর পল্লির পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধনে ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী প্রমুখ। দাসপুরের সোনাখালি স্কুলপাড়া সবর্জনীনের পুজোরও এ দিন উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, মেদিনীপুর শহরেরও দু’টি পুজোর এ দিন ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধন করেন মমতা। কর্নেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজো এবং ছোটবাজার সর্বজনীনের পুজো। পুজোর উদ্বোধন উপলক্ষে কর্নেলগোলা আদি সর্বজনীনে এক অনুষ্ঠানও হয়েছে। অনুষ্ঠানের সূচনায় ছিলেন জেলাশাসক আয়েষা রানি, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, বিধায়ক জুন মালিয়া, পুরপ্রধান সৌমেন খান প্রমুখ। এই দুর্গোৎসব সমিতির সম্পাদক তীর্থঙ্কর ভকত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পুজোর উদ্বোধন করেছেন। আমরা খুব খুশি।’’
কয়েক বছর ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বাকি এলাকার সঙ্গে টক্কর দেয় ঘাটাল। এ বারও তেমনই হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন এখানকার পুজো উদ্যোক্তারা। ঘাটাল শহরের ন্যাশনাল বয়েজ় ক্লাবের পুজো এ বার ৩৬ বছরে পড়ল। এখানে স্থায়ী মণ্ডপে সাবেকি প্রতিমা। মণ্ডপ-সহ চারপাশে রকমারি আলোয় সচেতনতামূলক বার্তা থাকছে। ক্লাবের উদ্যোগে লাগোয়া বিদ্যাসাগর মাঠে মেলাও বসছে। এ বার পুজোর সঙ্গে ওই ক্লাবের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবও চলছে। থাকছে সামাজিক সচেতনতামূলক নানা প্রচার। পুজোর দিনগুলিতে ক্লাবের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ, কন্যা ভ্রুণ হত্যা, সাইবার অপরাধ, প্লাস্টিক বর্জন, ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে কর্মশালা হবে। ওই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস মণ্ডল ও সভাপতি রামকৃষ্ণ বসু বলেন, “রবিবার পুজোর উদ্বোধন হল।’’ এ দিনই উদ্বোধন হওয়া কুশপাতার ১৭-এর পল্লির পুজো ৫৮ বছরে পড়ল। থিম দরমায় দশভূজা। এখানে মূলত হারিয়ে যাওয়া ডোকরা শিল্পের নানা জিনিস দেখানো হয়েছে। বাঁশ কেটে চাঁচ তৈরি করে তৈরি হয়েছে নানা কাজ। মণ্ডপ জুড়ে থাকছে গরুর গাড়ি, পাল্কি, হ্যারিকেন, ঘুনি, মই-সহ পুরনো দিনের ব্যবহৃত অনেক জিনিস। দাসপুরের সোনাখালি স্কুলপাড়া সবর্জনীনের এ বারের থিম ‘প্রকৃতির অন্তরালে শান্তির খোঁজ।’ উদ্যোক্তাদের পক্ষে শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, রবিবার থেকেই দর্শকদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন ঝাড়গ্রাম জেলায় ভার্চুয়ালি ছ’টি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলি হল পুরাতন ঝাড়গ্রাম সর্বজনীন, ঘোড়াধরা সর্বজনীন, গোপীবল্লভপুর থানা সর্বজনীন, কাঁটাপাহাড়ি সর্বজনীন, ডুমুরিয়া সর্বজনীন ও নারায়ণপুর সর্বজনীন। পরে শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রাম সর্বজনীনের পুজোর সূচনা করেন বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। সেখানে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy