ব্ল্যাক বোর্ড নয়, পড়ুয়াদের চোখের সামনে এলসিডি মনিটরের পর্দায় ভেসে উঠবে তাদের পড়ার বিষয় ও ছবি।
সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে শ্রেণকক্ষে আলো জ্বলবে, পাখাও চলবে।
স্কুলের চত্বরে থাকবে নানা ভাস্কর্য, সাজানো ফুলের বাগান এবং পাড় বাঁধানো পুকুরঘাট।
আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে খুদে পড়ুয়াদের পড়াশোনা-সহ স্কুলের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলার ৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতর। জেলার প্রতিটি ব্লক ও পুরসভা এলাকায় একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরাজী মাধ্যম স্কুলেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ টি স্কুলকে বাছাই করে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের প্রকল্প-সহ অন্যান্য কিছু প্রকল্প থেকে অর্থ সংস্থান করা হবে।’’
জেলা প্রশাসন-পুলিশ-সহ আধিকারিকরা প্রতিমাসে একবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর পাশাপাশি স্কুলের পরিকাঠামোগত বিভিন্ন খামতি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে দীক্ষা। স্কুলে পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্য মডেল স্কুল গড়ে তোলাও জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা বলে জানা গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বর্তমানে মোট ৩২৬২ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক কাজ-সহ পরিদর্শনের জন্য জেলায় মোট ৪৫ টি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস বা চক্র অফিস রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে জেলার প্রতিটি চক্র থেকে নুন্যতম একটি করে মোট ৫০ টি প্রাথমিক স্কুলকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এইসব বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অডিও-ভিস্যুয়াল পদ্ধতিতে পাঠদানের জন্য এলসিডি মনিটর-সহহ কম্পিউটার দেওয়া হবে। ব্ল্যাক বোর্ডের পরিবর্তে কম্পিউটারের সাহায্যে মনিটরের পর্দায় ছবি, পড়ার বিষয়বস্তু দেখানোর সাথে শোনার ব্যবস্থা থাকবে।
জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে জেলার যে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ভাল সংখ্যক পড়ুয়া রয়েছে ও পড়াশোনায় অগ্রণী হিসেবে চিহ্নিত সেইসব স্কুলকেই মডেল হিসেবে বাছা হয়েছে। জেলায় ২৫ টি ব্লক ও ৫ টি পুরসভা এলাকায় একটি করে মোট ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরাজী মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদি কোনও পড়ুয়ার অভিভাবক ইংরাজি মাধ্যমে পড়াতে রাজি না হন সেক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দমত অন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।’’
মৃতদেহ উদ্ধার। রূপনারায়ণের ধার থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে তমলুক থানার বিশ্বাস গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে , বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। এ দিন সকালে বিশ্বাস গ্রাম সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদীর ধারে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy