বাস নেই পথে। স্ট্যান্ডে প্রতীক্ষা। সোমবার। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
আদিবাসীদের রেল-রাস্তা অবরোধের জেরে আগেও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে ঝাড়গ্রামে। তবে ঘাটাল শহর বা লাগোয়া এলাকায় শেষ কবে আদিবাসী বিক্ষোভে জনজীবন স্তব্ধ হয়েছে, তা মনে করা দুষ্কর। সোমবার ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের কর্মসূচীর দিনভর অবরুদ্ধ রইল ঘাটাল-চন্দ্রকোনা ও ক্ষীরপাই-আরামবাগ সড়ক।
এ দিন সকাল থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঘাটাল। ঘাটাল মহকুমায় রেলপথ নেই। সড়কপথই যাতায়াতের মূল মাধ্যম। আদিবাসীদের অবরোধের জেরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে নাকাল হতে হল সাধারণ মানুষকে। গাড়ি না চলায় স্কুল-অফিস যেতে সমস্যা হয় তাঁদের। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা, অফিস কর্মী গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। কলকাতা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে এসেছিলেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষীরপাই শহরে আটকে পড়েন তিনি। তাঁর কথায়, “বর্ধমান যাচ্ছিলাম। স্ত্রীর খুব শরীর খারাপ। কলকাতাতেও আর ফিরতে পারব না।”
এ দিন সকাল ছ’টায় ক্ষীরপাই শহরের হালদারদিঘির মোড়ে জমায়েত করে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা-র সমর্থকরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংগঠনের সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন। ক্ষীরপাইয়ে এমন আন্দোলন শেষ কবে দেখেছেন, মনে করতে পারছেন না কেউই। ক্ষীরপাই শহরের এই মোড় দিয়ে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা ও ক্ষীরপাই আরামবাগ, এই দু’টি রুটের সব বাস-সহ অন্য যানবাহনও চলাচল করে। এ দিন ওই রাস্তা দু’টি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় কোনও যানবাহন চলাচল করেনি। এমনকী বাইকও যেতে দেওয়া হয়নি। এককথায় পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক জনজীবন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ট্যান্ডে এসে অপেক্ষা করেন যাত্রীরা। ঘাটাল কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছু বাস চলাচল করে। কিন্তু ফের মেছোগ্রামে এসে আটকে পড়ে বাসগুলি।
আদিবাসীদের আন্দোলনের জেরে ঘাটাল মহকুমার একাধিক এলাকা কার্যত বন্ধের চেহারা নেয়। রাস্তাঘাটেও লোকজন কম ছিল। মাঝপথে আটকে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।
ঘাটাল বাস ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে প্রভাত পান বলেন, “এ দিন হাতে গোনা কয়েকটি বাস চলাচল করেছে। হলদিয়া-কলকাতা, বর্ধমান, বাঁকুড়া-সহ সমস্ত দুরপাল্লা রুটের বাসই এ দিন বন্ধ ছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy