শুরু হওয়ার মাত্র এক দিনের মধ্যেই জেলা জুড়ে প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষ ‘হ্যালো ডাক্তার’-এর পরিষেবা নিয়েছেন। ফাইল ছবি
করোনা সংক্রমণ বাড়তেই উৎকণ্ঠা। পরিবারের কারও জ্বর হলেই ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘হ্যালো ডাক্তার’। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা সাড়া ফেলেছে। নিকটবর্তী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে ফোন করলেই দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন আশাকর্মীরা। জেলা প্রশাসনের দাবি, শুরু হওয়ার মাত্র এক দিনের মধ্যেই জেলা জুড়ে প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষ ‘হ্যালো ডাক্তার’-এর পরিষেবা নিয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন,“অন্য জেলার তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুরে এখনও করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তবে মানুষ সচেতন না হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই কারণেই এক দিকে যেমন ‘হ্যালো ডাক্তার’ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনই জেলা জুড়ে বাজারের ভিড় নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এর পাশাপাশি প্রয়োজনে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’
শনিবার থেকে নন্দকুমার থানা এলাকায় মাইক প্রচার শুরু হয়। সমস্ত বাজার সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ও বিকেল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও দোকান খোলা থাকলে তার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহিষাদল থানা এলাকায় আবার কেউ মাস্ক ছাড়া বাজারে ঘুরলেই তাঁকে ৫০০টাকা করে জরিমানা করছে পুলিশ ।
পূর্ণেন্দুর বক্তব্য,‘‘যে সমস্ত বাজারে বেশি ভিড় হয়, সেই বাজারগুলিকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলার মধ্যে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য পর্যাপ্ত বেড রয়েছে। তাই নতুন করে কোনও হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই জেলায় বেশ কয়েকটি সেফ হোম চালুর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy