Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
বিক্ষোভ বেলপাহাড়িতে

নেই ডাক্তার, শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

চিকিত্সক ও নার্সের গাফিলতির জেরে শিশু কন্যার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বেলপাহাড়ি ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান শিশুটির পরিজন ও স্থানীয়রা।

মায়ের-কোলে: তখনও মারা যায়নি শিশুটি। নিজস্ব চিত্র

মায়ের-কোলে: তখনও মারা যায়নি শিশুটি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বেলপাহাড়ি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৮ ০০:৪৬
Share: Save:

চিকিত্সক ও নার্সের গাফিলতির জেরে শিশু কন্যার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বেলপাহাড়ি ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান শিশুটির পরিজন ও স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, সরকারি হাসপাতালে যথাযথ পরিষেবা দিতে হবে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাশের জেলা ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকে অভিযোগের তির সেই সরকারি চিকিত্সক ও নার্সের বিরুদ্ধেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্দাপাড়া অঞ্চলের চুটিয়াভুঁদরি গ্রামের বছর তিনেকের শিশুকন্যা পারসিপহা হেমব্রমকে বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিভাবকরা। জ্বর ও পেট খারাপের উপসর্গ থাকায় শিশুটিকে ভর্তি করে নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটির রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু ওয়ার্ডে কোনও চিকিত্সক শিশুটিকে এসে দেখেননি বলে অভিযোগ। বিকেলের দিকে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে কোনও চিকিত্সককে পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ান তাঁর মা। চিকিত্সক যখন এসে দেখেন তখন শিশুটি নিথর হয়ে গিয়েছে।

শিশুটির বাবা কৃষ্ণপদ হেমব্রমের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার পরে তাঁর মেয়ের কোনও চিকিত্সাই হয়নি। বিএমওএইচ উত্তম মাণ্ডি দাবি করেন,“শিশুটিকে পরিজনরা কোনও কিছু খাওয়াতে গিয়েছিলেন। খাবার শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে শিশুটির অভিভাবক অভিযোগ করেননি।” সিএমওএইচ অশ্বিনী মাঝি বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসনালীতে খাবার আটকে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কর্তব্যরত নার্সের চোখ এড়িয়ে কীভাবে এমন ঘটল সেটা বিএমওএচ-এর কাছে জানতে চেয়েছি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE